আগামী ১১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ডাকসু নির্বাচনে ‘অংশ নিতে চাওয়ায়’ কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম “বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদে’র নের্তৃবৃন্দকে মারধরের অভিযোগ ওঠেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমির সামনে একদল মোটরসাইকেল আরোহী তাদের মারধর করে মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। মোটরসাইকেল আরোহীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ছিলেন বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
মারধরের শিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে তিনিসহ পরিষদের অন্যান্য যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর, রাশেদ খান, ফারুক হাসান, সোহরাব হোসেন, মাহফুজ, আয়াতুল্লাহ, মুনতাসির মামুনসহ আরো কয়েকজন বাংলা একাডেমির সামনে নাস্তা করতে গিয়েছিলেন।
এর কিছুক্ষণ পরই একদল মোটরসাইকেল আরোহী তাদের এসে ধাওয়া করে পিছন থেকে ধরে মারধর করে। এ সময় সোহরাব হোসেনের মোবাইল মানিব্যাগ কেড়ে নিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায় তারা। তবে ঘণ্টা দুয়েক পর তাকে পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।
নুরুল হক নুর আরও জানান, ডাকসু নির্বাচনে আমাদের অংশগ্রহণের ব্যাপারে গতকাল (বুধবার) নিউজ হয়েছে। আমরা নির্বাচনে অংশ নিলে ছাত্রলীগের শক্ত প্রতিদ্বন্দী হতে পারি, এমন ভাবনা থেকে ভয়ভীতি দেখানোর উদ্দেশ্যে তারা আমাদের উপর হামলা করেছে।
তবে মারধরের বিষয়টি ভিত্তিহীন দাবি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, নুর ভাই আমাকে ফোন করেছিলেন । আমি তৎক্ষণাৎ খোঁজখবর নিয়েছি। এমন কোন ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানীর সাথে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এর আগে, ডাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগ মুহুর্তে এসে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানায় ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ১৮ জানুয়ারি রাজধানীর পল্টনে মিলিত হয়েছিলেন তারা। সংগঠনটি হল ও কেন্দ্রীয়ভাবে সংসদে স্বতন্ত্রভাবে প্যানেল দিয়ে নির্বাচনে যাবে বলে জানা গেছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর