মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব তালুকদারের বহিষ্কার দাবি করেছে ছাত্রলীগের একাংশ। বুধবার বিকেলে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ দাবি জানান।
সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদস্য রাসেল আল ফারাবী জানান, গত সোমবার রাতে সজীব তালুকদার তাকে (রাসেল আল ফারাবী) ফোন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলে তার কক্ষে ডেকে নেয়। সেখানে আগে থেকেই আরো কয়েকজন উপস্থিত ছিল। তখন সজীব তাকে একটি নীল রঙের প্যাকেটে ইয়াবা দিয়ে তার বন্ধু ও ছোট ভাইদের কাছে ৩০০ টাকা করে বিক্রি করতে বলে। এতে রাজি না হলে তারা হকিস্টিক ও রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। একই সঙ্গে জোর করে পদত্যাগপত্রে তার স্বাক্ষর নেয়া হয়। ইয়াবা বিক্রির বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্যও হুমকি দেয়া হয়। এক পর্যায় তারা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে বাধ্য করে এবং সেটি ভিডিও করা হয়। তারপর তাকে হল ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, সজীব তালুকদার তিন মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষকদের সাথে অসদাচরণের কারণে বহিস্কৃত হয়েছেন। তারপরও তিনি অবৈধভাবে বঙ্গবন্ধু হলে অবস্থান করছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মাদক ব্যবসা, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে জড়িত।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কর্মী মো. সানাউল ইসলাম, নাজিম উদ্দিন, বাবু কিশোর দেব প্রমুখ।
এদিকে সজীব তালুকদার গত সোমবার রাতে ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে বঙ্গবন্ধু হলে তার রুমে ডেকে নিয়ে তিন ঘন্টা নির্যাতন করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ছাত্রলীগের একাংশ গত মঙ্গলবার দুপুরে সজীব তালুকদারের উপর হামলা করে। তিনি আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
অভিযোগের ব্যাপারে সজীব তালুকদারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাবির ইকবাল ধরেন। তিনি বলেন, এগুলো সব মিথ্যা। সজীব মাদক, চাঁদাবাজি বা কোন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত নয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার