২৪ জুন, ২০১৯ ১৬:৩২

বেরোবিতে তিন দফা দাবিতে কর্মচারীদের কর্মবিরতি চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

বেরোবিতে তিন দফা দাবিতে কর্মচারীদের কর্মবিরতি চলছে

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারীবান্ধব পদোন্নতি/আপগ্রেডেশন নীতিমালা বাস্তবায়নসহ তিন দফা দাবীতে দ্বিতীয় দিনের মত কর্মচারীদের কর্মবিরতি চলছে।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন কর্মচারীরা। এর আগে রবিবার অর্ধ দিবস কর্মবিরতি পালন করে কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ নামে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের সংগঠন।

কর্মচারীদের দাবিসমূহ হল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারীবান্ধব পদোন্নতি/আপগ্রেডেশন নীতিমালা বাস্তবায়ন, ৪৪ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান এবং ১০ম গ্রেড প্রাপ্ত ২৫ জনকে কর্মকর্তা পদমর্যাদা প্রদান ও মাস্টার রোল কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ।

বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারীদের আন্দোলনের আড়াই মাসের মাথায় ফের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন কর্মচারীরা।

সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে দেখা যায়, কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থেকে রেজিস্ট্রারের রুমের সামনে সমবেত হয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিচ্ছেন। এছাড়া, ‘বারবার কেন আন্দোলন' শিরোনামে উপাচার্য বরাবর কর্মচারীরা একটি খোলা চিঠি দেন।

চিঠিতে তারা তাদের অভিযোগগুলো তুলে ধরে বলেন, ‘আমারা বিগত দিনে ৪৪ মাস যাবত অতি কষ্টে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করে আসছি। এই সময়ে রহস্যজনক কারণে ৪৪ মাস যাবত বেতন-ভাতা প্রদান করা হয়নি, যা আজও বকেয়া রয়েছে। তবে ২৮৮ জনকে বকেয়া পরিশোধ করলেও ৫৮ জন কর্মচারীকে ওই বকেয়া দেয়া হয়নি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে বক্তব্য প্রদান করেন তা গ্রহণযোগ্য নয় মাননীয় উপাচার্য। কারণ ২৮৮ জনের বকেয়া দেয়ার ক্ষেত্রে মামলার কোন প্রশ্ন উঠলো না। ৫৮ জনের ক্ষেত্রে কেন মামলার প্রশ্ন তোলা হল? তাছাড়া, ৫৮ জনের নামে কোন মামলা নেই মর্মে পূর্বেও রেজিস্ট্রার পত্র মারফত ইউজিসিকে অবহিত করেছেন। তাই আমরা মনে করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৫৮ জনের বকেয়া আটকে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা করছে।

এ ব্যাপারে কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নুর আলম বলেন, গতকাল আমরা অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করলেও আজ থেকে আমরা সারাদিন ব্যাপী কর্মবিরতি ঘোষণা করেছি। উপাচার্য মহোদয় যদি আমাদের সাথে সাক্ষাৎ না করেন তাহলে আমরা কঠোর থেকে কঠোরতম আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। 

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ সাথে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

বিডি-প্রতিদিন/২৪ জুন, ২০১৯/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর