১৩ নভেম্বর, ২০১৯ ১০:৩৪

জাবিতে উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে সংহতি সমাবেশ

অনলাইন ডেস্ক

জাবিতে উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে সংহতি সমাবেশ

সংগৃহীত ছবি

জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে সংহতি সমাবেশ করেছে আন্দোলনকারীরা। মঙ্গলবার বিকাল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন রেজিস্ট্রারের সামনে এ সংহতি সমাবেশ করা হয়। সমাবেশে দেশের খ্যাতিমান বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।

এসময় বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)-এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান আন্দোলননে সংহতি জানিয়ে বলেন, অনতিবিলম্বে এ দুর্নীতিবাজ ভিসিকে অপসারণ না করলে মানুষ সারাদেশে আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে বাধ্য হবে।

সংহতি সমাবেশে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, জাবিতে বিদ্যমান পরিস্থিতির জন্য প্রথমে দায়ী ভিসি, দ্বিতীয়ত দায় সরকারের। প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যায়ের দুর্নীতির বিষয়ে সঠিক সমাধাণের চিন্তা না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে গণমাধ্যমে মন্তব্য করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে আন্দোলন আরো উৎসাহিত হয়েছে। 

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘হামলার জন্য ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ দিয়ে ভিসি যে বক্তব্যে দিয়েছে, সেই বক্তব্যের জন্যও ভিসিকে অপসারণ করতে হতো। তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগের হামলাকে ভিসি যখন ‘গণঅভ্যুত্থান’ বলেছেন এখন এ ভিসি পদত্যাগ না করলে, দেশে সত্যিকার গণঅভ্যুত্থান শুরু হবে।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ‘ছাত্রলীগ শুধু জাহাঙ্গীনগরের শিক্ষার্থীদের উপরই হামলা চালাচ্ছে না। ছাত্রলীগের হামলা সারাদেশেই চলছে। কিন্তু শিক্ষা উপমন্ত্রী ছাত্রলীগের পক্ষে সাফাই গাচ্ছেন। বর্তমানে রাষ্ট্রের কোন প্রতিষ্ঠানই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। সকল ঘটনাতেই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা তার প্রমাণ।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে আরো বক্তব্য রাখেন বাসদ (মাকর্সবাদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড আ ক ম জহিরুল ইসলাম, কমিউনস্টি পার্টির সাধারণ সম্পাদ কমরেড শাহ আলম, সঙ্গীত শিল্পী ও কবি অরূপ রাহী, অধ্যাপক রাহনুমা আহমেদ, ঢাবির সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা, রাষ্ট্র চিন্তার রাখাল রাহা, পরিবেশবাদী মিজানুর রহমান, আব্দুল খালেক তালুকদার, সিনেটর মহব্বত হোসেন, ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান, অধ্যাপক শামিমা সুলতানা।

এছাড়াও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স, ছাত্র ফেড়ারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও অরণি সেমন্তী খান বক্তব্য রাখেন।
 
সমাবেশ শেষে রাত সাড়ে সাতটায় গানে গানে সংহতির আয়োজন করে আন্দোলনকারীরা। সমাবেশে বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শিল্পীরা সংহতি জানিয়ে প্রতিবাদী গান পরিবেশন করে। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর