‘বাংলার স্বাধীনতা আমার কবিতা’ প্রতিপাদ্যে ভাষার মাসের প্রথম দিনে জাতীয় কবিতা উৎসব শুরু হয়েছে। কবি ও আর কবিতার এ মিলনমেলায় দেশীয় কবিদের পাশাপাশি যোগ দিয়েছেন ভারত, ভুটান, নেপাল, অস্ট্রিয়া ও ইরানের কবিরা।
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পাশে অবস্থিত হাকিম চত্বরে দু’দিনব্যাপী ‘৩৫তম জাতীয় কবিতা উৎসব ২০২৩’ এর উদ্বোধন করা হয়। পতাকা উত্তোলন, উৎসব সংগীত ও একুশের গানের মধ্যদিয়ে পর্দা ওঠে এ উৎসবের।
উৎসবের উদ্বোধন করেন কবি আসাদ চৌধুরী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) এবং জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। অনুষ্ঠানে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাতসহ দেশ-বিদেশের অনেক বরেণ্য কবি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।করোনার কারণে গত দুই বছর কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়নি। তাই এ বছর ঘটা করে উৎসবের আয়োজন করছে আয়োজকেরা। এবারের উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে, প্রয়াত কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী ও কবি কাজী রোজী’র প্রতি।
দু’দিনের এ উৎসবে কবিতা পাঠ, নিবেদিত কবিতা, সেমিনার, কবিতা আবৃত্তি ও গানের মধ্য দিয়ে এবারের স্লোগান তুলে ধরা হবে। বৃহস্পতিবার উৎসবের শেষ দিনে জাতীয় কবিতা উৎসব পুরস্কারপ্রাপ্ত কবির নাম ঘোষণা করা হবে।
উদ্বোধন শেষে কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, একটি দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতি দেশকে এগিয়ে নেয়। তাই কবি-সাহিত্যিকদের মূল্যায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, কাগজের দাম কমান। কাগজের দাম না কমালে আমাদের বই বের হবে না। বই বের না হলে আমরা পাঠকের সামনে যেতে পারব না। আমাদের জ্ঞানী-গুণী, কবি-সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার কে কী ভাবছেন, তা জানতে পারব না। আমি আশা করি, সরকার এইদিকে কান দেবেন। দেশটা মূর্খ হয়ে যাক, নিশ্চয়ই সরকার তা ভালো মনে করেন না।
উল্লেখ্য, স্বৈরাচারের শৃঙ্খল মুক্তির ডাক দিয়ে ১৯৮৭ সালে শুরু হয়েছিল জাতীয় কবিতা উৎসব। কালের পরিক্রমায় উৎসব ৩৫ বছরে পদার্পণ করেছে।
বিডিপ্রতিদন/কবিরুল