কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। সোমবার রাতে কোটা আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগ সূত্রে এতথ্য জানা যায়।
আন্দোলনকারী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সিয়াম, দর্শন বিভাগের পারভেজ, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ইভান এবং একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বাপ্পি। এছাড়াও একই শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের মারুফ, সুমন ও নাইম আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, কোটা আন্দোলনকারীদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় জবি শাখা ছাত্রলীগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের নাট্যকলা বিভাগের সভাপতি রাসেল মাহমুদ, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের কর্মী তানজিম তনিম, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের নৃবিজ্ঞান বিভাগের কর্মী গাজী শামসুল হুদা, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের কর্মী আব্দুল বারেক আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে আহত হওয়া ইভান তাওসিফ বলেন, আমরা জগন্নাথের সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে ছাত্রলীগের হামলায় আহত হয়েছি। ঢাকা মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।
এদিকে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রাত সাড়ে নয়টায় হামলার ঘটনায় একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করার কথা থাকলেও ক্যাম্পাস প্রধান ফটকের সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ক্যাম্পাস থেকে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে বের করে দেন। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের ক্যাম্পাসের ভিতরে অবস্থান নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায়।
এসময় ক্যাম্পাসের ভিতরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ব্যাপক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
বিডি-প্রতিদিন/শআ