মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গত কয়েকদিন ধরে অনান্য ভোগ্য পণ্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হু হু করে বাড়ছিল আদার দাম। পাইকারি দোকানে মূল্য বৃদ্ধির কারণে এর প্রভাব পড়ে খুচরা দোকানগুলোতে। এতে করে প্রতিদিন অনান্য পণ্যের মতো ক্রেতাদের আদাও কিনতে হচ্ছে বেশি দাম দিয়ে।
রবিবার শহরের পাইকারি বাজার সেন্টাল সড়কে র্যাবের আভিযানে কমে আসে আদার দাম। যে আদা ব্যাবসায়ীরা ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি করতেন তা নেমে এলো ১৫৫ টাকা কেজিতে। এই অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই সড়কের পাইকারি ব্যবসায়ী মেসার্স প্রাণ গোপাল বাণিজ্যালয়কে ১৫০ টাকার আদা ২৫০ টাকা দামে বিক্রয় করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
আদালত পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক আল আমিন হোসেন। সাথে ছিলেন শ্রীমঙ্গল র্যাব ক্যাম্প’র অধিনায়ক এএসপি আনোয়ার হোসেন শামীম। ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এএসএম ইয়াহিয়া, সাধারণ সম্পাদক হাজী কামাল হোসেন।
এএসপি আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, ‘কিছুদিন ধরেই পাইকারি বাজারে আদার মূল্য ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা কেজিকে বিক্রির খবর আমাদের নিকট আসতে থাকে। আজ ভোক্তা অধিদফতরকে সঙ্গে নিয়ে বাজারে গিয়ে আমরা এর সত্যতা পেলাম। ব্যবসায়ীরা দেশের এই দুর্যোগ সময়ে প্রতি কেজি আদায় ১০০ টাকা মুনাফা করছেন এটা ভাবা যায় না। তাই প্রতি কেজি আদার পাইকারি মূল্য ১৫৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়ে আসা হয়েছে। কেউ যদি নির্ধারিত দামের থেকে বেশি দামে বিক্রি করেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত