সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর লুটের ঘটনায় গঠিত জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
বুধবার বিকালে ৭ পৃষ্ঠার এ রিপোর্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির প্রধান সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) পদ্মাসন সিংহ। তবে এ ব্যাপারে তিনি আর কিছু বলতে রাজি হননি।
বুধবারই সিলেটের নতুন জেলা প্রশাসক কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার কথা। রিপোর্ট দেখে যা বলার তিনিই বলবেন।
জানা যায়, সম্প্রতি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জের সাদাপথরের প্রায় ১০ লাখ ঘনফুট পাথর লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
বিষয়টি জানাজানি হলে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। রিট হয় উচ্চ আদালতে। আদালত লুন্ঠিত পাথর উদ্ধার করে আবার যথাস্থানে প্রতিস্থাপনের নির্দেশ দেন। এরপর সিলেট এবং নারায়নগঞ্জে শুরু হয় প্রশাসনের সাঁড়াশি অভিযান। বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৫ লক্ষাধিক ঘনফুট সাদাপাথর।
আর গত ১২ আগস্ট সিলেটের জেলা প্রশাসক গঠন করেন একটি তদন্ত কমিটি। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের সহকারি পরিচালক, আফজালুল ইসলাম ও কোম্পানীগঞ্জের তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুন্নাহার।
তবে পাথর লুটের ঘটনায় আজিজুন্নাহারের যোগ-সাজশের অভিযোগ থাকলেও তাকে তদন্ত কমিটির সদস্য করায় এই কমিটিকে নিয়ে কঠোর সমালোচনা শুরু হয়। কমিটি ৭২ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তা আর সম্ভব হয়নি। পরে আরও ৭২ ঘন্টা সময় বাড়ানো হয়।
বুধবারই ছিল বর্ধিত সময়সীমার শেষ দিন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত