চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার আমাদের সাহসের বাতিঘর। অগ্নিযুগের বিপ্লবী প্রীতিলতা যুগে যুগে বাংলার নারীদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। তার জীবনাদর্শ থেকে তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষা নিয়ে উজ্জীবিত হতে হবে।
টিআইসি মিলনায়তনে প্রীতিলতার জন্মোৎসব উদযাপন পরিষদের তিন দিনের অনুষ্ঠানের সমাপনীতে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে প্রধান প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. এসএম মুনিরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আকতার সভাপতিত্ব করেন। উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন জন্মোৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব প্রকৌশলী পুলক কান্তি বড়ুয়া। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ রীতা দত্ত, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সাবেক সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত, বীরকন্যা প্রীতিলতা ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পংকজ চক্রবর্তী প্রমুখ।
দেশাত্মবোধক গান করেন শিল্পী মৌসুমী চৌধুরী। কবিতা পাঠ করেন অপরাজিতা ভট্টাচার্য। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন ঘুঙুর নৃত্যকলা একাডেমির শিল্পীরা। বীরকন্যা প্রীতিলতাকে নিবেদিত শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন, লোকনৃত্য, সাধারণ নৃত্য, লোকসঙ্গীত, দেশের গান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ২২০ জন বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীকে ক্রেস্ট, সনদ তুলে দেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. এসএম মুনিরুজ্জামান বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু, মাস্টারদা সূর্য সেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, বিনোদ বিহারী চৌধুরীর আত্মত্যাগ এবং পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানি জান্তার বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৩ বছরের আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আপসহীন নেতৃত্ব ও ত্যাগের কারণেই পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটেছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের। বাঙালি জাতি পেয়েছে স্বাধীন পতাকা।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান