অরবিস ইন্টারন্যাশনালের চীফ অব প্রোগ্রামস্ ডা. ড্যানী হাদ্দাদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশে রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীসহ কক্সাবাজারের স্থানীয় জনগণের চক্ষু চিকিৎসা সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে অরবিস। কক্সবাজার জেলার উখিয়া এবং টেকনাফ উপজেলার শরণার্থী ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থী ও স্থানীয় জনগণের চোখের চিকিৎসায় বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা, ওষুধ ও চশমা সরবরাহসহ চোখের (জটিল ছানি ও অন্যান্য) অপারেশনের মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে দুই দিনের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চিকিৎসা সেবা ও পরিদর্শন শেষে মত বিনিময়ময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সফররত দলটি বাংলাদেশ সরকারের শরণার্ত্রী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার এবং অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম এনডিসি’র সঙ্গে চক্ষু চিকিৎসা কার্যক্রম বিষয়ে মতবিনিময় করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অরবিস ইন্টারন্যাশনালের এশিয়া রিজিওনের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার ক্লেয়ার সেজলী টিম্বো, বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনীর আহমেদ, ডিরেক্টর অব প্রোগ্রামস মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতালের জেনারেল সেক্রেটারি এম এম সিরাজুল ইসলাম, ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর দ্য প্রিভেনশন অব ব্লাইন্ডনেস (আইএপিবি) এর রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর ইয়োদ্দা ধ্বজ সাপকোটা, সেবা ফাউন্ডেশনের কন্সালটেন্ট জেরী ভিনসেন্ট।
সফরকালে ড্যানী হাদ্দাদ উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পে চক্ষু পরীক্ষা কার্যক্রম, শিশু বান্ধব কেন্দ্র পরিদর্শনের পাশাপাশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কো-অর্ডিনেটর ‘মাঝি’ ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় যোগ দেন। রোহিঙ্গা শরণার্ত্রী ক্যাম্পে চক্ষু পরীক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শনের সময় ড্যানী হাদ্দাদ ক্যাম্পে আগত রোগীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের চোখের সমস্যা সম্পর্কে জানার পাশাপাশি কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতালে একজন রোহিঙ্গা শরণার্ত্রী রোগীর চোখের চিকিৎসা ও অপারেশননের পরে রোগীর চোখ থেকে ব্যান্ডেজও খুলে দেন। কাতার ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের মাধ্যমে ‘কাতার ক্রিয়েটিং ভিশন (কিউসিভি) এক্সপান্ডিং আই কেয়ার ইন সাউথ ইস্ট বাংলাদেশ’ প্রকল্পটি এ পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কের চক্ষু পরীক্ষার পাশাপাশি, ওষুধ ও চশমা বিতরণসহ চোখের অপারেশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া, স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কর্মীদের চোখের স্বাস্থ্য পরিচর্যা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার