চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ইফতার সামগ্রী নিতে গিয়ে ১০ নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১১ জন। আহতদের সাতকানিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে সাতকানিয়ার পূর্ব গাটিয়াডেঙ্গা এলাকার কাদেরিয়া মুঈনুল উলুম দাখিল মাদরাসা গেইটের প্রবেশমুখে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ২০ হাজার লোকের ইফতার সামগ্রী বিতরণের ব্যবস্থা থাকলেও দ্বিগুণ লোক সমাগম হওয়ায় ঠেলাঠেলিতে মাদ্রাসা গেইটের প্রবেশমুখে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ১. হাছিনা আক্তার স্বামী: মো: ইসলাম. খাগরিয়া, সাতকানিয়া। ২. রিনা বেগম, স্বামী: হাসান ড্রাইভার, সাং-দক্ষিণ ঢ়েমশা মজিদ মেম্বারের বাড়ী, সাতকানিয়া রাস্তার মাথা। ৩.ফাতেমা বেগম টুনটুনি (১৫), পিতা : আব্দুস সালাম সাং : কলাউজান ২ নং ওয়ার্ড, লোহাগাড়া। ৪.নুর আয়েশা( ৬০) স্বামী : মো: ইব্রাহিম, খাইসতলী ২ নং ওয়ার্ড, মোহামদুর বড় বাড়ী, সোয়ালক, বান্দরবান।
৫.নুরজাহান( ১৮), পিতা : আলা উদ্দিন, সাং : মমতাজিবর বাড়ী, উত্তর কলাউজান, লোহাগাড়া। ৬. রশিদা আক্তার,(৫৪) স্বামী : নুর হোসেন, সাং:খাগরিয়া রসুল পাড়া, মহাজন পাড়া,সাতকানিয়া। ৭.জোসনা বেগম (২৫) স্বামী :আব্দুল হাফেজ, সাং : রসুলাবাদ পাড়া, রাবার ড্যাম, কলাউজান, লোহাগাড়া। ৮. শাকি আক্তার (২২) স্বামী আবুল কালাম , পিতা : মোবারক হোসেন, মাতা : চেমন আরা, উত্তর ঢ়েমশা মাইজ পাড়া, সাতকানিয়া। ৯. আনোয়ারা বেগম (৬০),পিতা : নুরুল ইসলাম, সাং: পূর্ব-দোহাজারী, চন্দনাইশ।
এছাড়া ১ জন নারী চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। তার নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি। এদিকে এ ঘটনায় আরও ১ শিশু নিহত হয়েছে বলে শোনা গেছে।
জেলা পুলিশের এডিশনাল এসপি রেজাউল মাসুদ বলেন, ইফতার সামগ্রী নেওয়ার ওই স্থানটিতে ৮/৯ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতা ছিল। কিন্তু সেখানে ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষের ঢল নামে। এতে ঠেলাঠেলিতে ৯ জন মারা যান।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ মে, ২০১৮/মাহবুব/ ই-জাহান