এবার এসএসসি পরীক্ষায় সেরা দশের মধ্যে প্রথম হলেন চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল। এর আগে টানা কয়েক বছর ধরেই এসএসসিতে ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শীর্ষ ছিল। কলেজিয়েট স্কুল থেকে এ বছর ৪৫৭ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৪৫৬ জন। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১১ জন। একই সাথে ২য় হয়েছে সরকারি মুসলিম হাই স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩১২ জন। প্রতিষ্ঠানটির ৩৯২ জন পরীক্ষার সবাই পাস করেছে। ৩য় হয়েছে নাসিরাবাদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯৪ জন। এ স্কুল থেকে ৪৬১ জন অংশ নিয়ে পাস করেছে ৪৫৯ জন।
চট্টগ্রামে এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেরা দশের মধ্যে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো হচ্ছে কয়েক বছর ধরেই শীর্ষে থাকা খাস্তগীর স্কুল এবার ৪র্থ হয়েছে। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭১ জন। এ স্কুল থেকে ৩২৫ জন পরীক্ষা অংশ নিয়ে একজন বাদে সবাই পাস করেছে। ৫ম হয়েছে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬৪ জন। এই স্কুল থেকে ৪৫৯ জন অংশ নিয়ে পাস করেছে ৪৬৫ জন। ৬ষ্ঠ হয়েছে নাসিরাবাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১৮ জন। এ স্কুল থেকে ৩৩৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩৩৫ জন। ৭ম হয়েছে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এবছর ৫১৭ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৫০৯ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮৭ জন। ৮ম স্থানে থাকা চট্টগ্রাম ক্যন্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬৩ জন। এ স্কুল থেকে ২০৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে। ৯ম স্থানে চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩০৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ২৯৫ জন। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪৬ জন এবং ১০ম স্থানে কক্সবাজার সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৫৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ২৪৬ জন। তাদের মধ্যে ১১২ জন পেয়েছে জিপিএ-৫।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মাহবুব হাসান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এবার পাসের হার ২.৬১ শতাংশ বেড়েছে। তবে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭১০ জন কমেছে।
চট্টগ্রামে এবার প্রথম স্থানে থাকা চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত দাশ বলেন, স্কুলের সাফল্যের পেছনে শিক্ষকদের দক্ষ পরিচালনা, নিয়মিত পরীক্ষা এবং মনিটরিং কাজ করেছে। এখানকার শিক্ষার্থীদের নিজের ছেলের মতোই মনে করি অঅমার।
তাই একজন আদর্শ শিক্ষার্থী হিসেবে গড়ে তুলতে সবসময় চেষ্টা করেছি।
ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহেদা আক্তার বলেন, ফলাফলে জিপিএ’র ভিত্তিতে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছি। এ ফলাফলে আমরা খুশি। চেষ্টা থাকবে আগামি বছর আরও ভালো করার।
সাফল্যের কথা জানাতে গিয়ে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী মারুফ আহমেদের ইচ্ছা ইচ্ছে প্রকৌশলী হওয়া। তিনি বলেন, ভাল একটা কলেজে ভর্তি নিশ্চিত হয়ে তারপর বুয়েটে ভর্তি হওয়ার মাধ্যমে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে চান।
অন্যদিকে খুশীতে প্রতিটি অভিভাবকরাই মিষ্টি খাওয়ানো নিয়ে ব্যস্ত সবাইকে। কলেজিয়েট স্কুলে হাজির হয়েছিলেন অভিভাবকরা। তাদের আত্মবিশ্বাস, সন্তানরা ভালো ফল করবেই। হয়েছেও তা-ই। খুশিতে তার সহপাঠী ও শিক্ষকদের মিষ্টি মুখ করিয়েছেন এক শিক্ষার্থীর মা লিপা চক্রবর্তী। তিনি বলেন, স্কুলের পরীক্ষায় ছেলের ফলাফল দেখে ধারণা ছিল, সে জিপিএ-৫ পাবে। ছেলের পেছনে প্রচুর সময় দিয়েছি। শেষ পর্যন্ত ভালো একটা রেজাল্ট উপহার দিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার