পাঠ্যবইয়ে ট্রাফিক আইনের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। নিরাপদ সড়কের বিষয়গুলো পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত থাকলে শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক রুলস এন্ড রেগুলেশন সম্পর্কে জানতে পারবে। শিশুকাল থেকে এসব বিষয়ে অবহিত থাকলে পরবর্তী সময়ে তা নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করার সহজ হবে।
বিশ্ব নিরাপদ সড়ক সপ্তাহ ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুশফিকীন নূরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপদ চট্টগ্রাম বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আহমেদ, বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক মো. শাহ আলম, সড়ক পরিবহন বিভাগের মহাসচিব আবু মান্নান প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘নিরাপদ সড়কের জন্য যারা আন্দোলন করেছিলেন, তারা আমাদেরকে অনেক কিছু শিখিয়েছেন। ট্রাফিক আইন থেকে শুরু করে নিরাপদ সড়কের জন্য যা যা দরকার তার প্রত্যেকটি তুলে ধরেছেন।’
তিনি বলেন, ‘সবাইকে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে। জরুরি গাড়িগুলোকে অবশ্যই আগে যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে। সড়ক বিভাগকে বলছি, গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে জেব্রক্রসিং দিয়ে দিবেন। জেব্রাক্রসিং এ দুর্ঘটনা ঘটলে চালককে দায়ী করা হবে। আমরা-আপনারা গাড়ি চালককে দ্রুত গাড়ি চালানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করি, এটা দুর্ঘটনার কারণ। একই সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে গাড়ি চালাতে গিয়েও বড় ধরণের দুর্ঘটনা হচ্ছে। চালককে শারীরিক ও মানসিক সুস্থ রেখে গাড়ি চালানো খুবই জরুরি। আর বিআরটিএ’র প্রতি অনুরোধ থাকবে, যারা নিয়মানুযায়ী গাড়ি চালাতে পারে, তাদের যেন দ্রুত লাইসেন্স দেওয়া যায়, সে বিষয়টি একটু গুরুত্ব দিবেন।’
সড়ক ও জনপদ চট্টগ্রাম বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আহমেদ বলেন, ‘নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে হলে আগে জনগণকে সচেতন করতে হবে, সচেতন থাকতে হবে। জনগণকে সচেতন করতে যা যা দরকার তা সরকার পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করছে। তাছাড়া আমাদেরও পথ চলতে গাড়ি, পার্কিং, সিগন্যালসহ সড়কে চলার বিধি নিষেধগুলো মেনে চলতে হবে।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার