চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)’র পুলিশিং কার্যক্রমে লাগছে আধুনিকতার ছোঁয়া। আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে উন্নত বিশ্বের পুলিশের মত নগরীর চার থানায় ‘ট্যাকটিক্যাল বেল্ট’ পড়ে সেবা দেবে পুলিশ। এতে করে মান্ধাতার আমলের পুলিশের পরিবর্তে দেখা মিলবে আধুনিক পুলিশিং। একই সাথে পুলিশের কাজের আসবে গতিশীলতা।
সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ‘আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে ‘ট্যাকটিক্যাল বেল্ট পুলিশিং কার্যক্রম শুরু করছে সিএমপি। প্রাথমিক ভাবে নগরীর চার থানায় নতুন ধাপের এ পুলিশিং কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এরই মধ্যে চার থানার পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে সিএমপি’র সবকটি থানায় এ কার্যক্রম শুরু হবে।’
জানা যায়, উন্নত বিশ্বের পুলিশ বাহিনীর মত সিএমপি’তে ‘ট্যাকটিক্যাল বেল্ট’ পুলিশিং কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে। এতে করে দীর্ঘদিন ধরে কাঁধে রাইফেল নিয়ে পুলিশ পাহারা দেয়ার যে চিত্র দেখা যেত তার পরবর্তীতে ‘হ্যান্ডস ফ্রি’ থাকবে পুলিশ সদস্যরা। তাদের কোমরে থাকবে ‘ট্যাকটিক্যাল বেল্ট’ যাতে থাকবে সাতটি চেম্বার।
এ বেল্টে থাকবে একটি ক্ষুদ্র অস্ত্র, এক্সপেন্ডেবল বাটন, বিশেষ কায়দায় তৈরি ওয়্যারলেস সেট, পানির বোতল, ক্যামেরা এবং টচলাইটসহ প্রয়োজনীয় কিছু ফিচার। বিশেষ ভাবে তৈরি ওয়্যারলেস সেট হাতে নিয়ে কথা বলার পরিবর্তে পোশাক কিংবা বোতামের সাথে যুক্ত রাখা হবে।
শুরুতে উপ-পরিদর্শক, সহকারী উপ-পরিদর্শক এবং কনস্টেবলদের ট্যাকটিক্যাল বেল্ট দেয়া হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে নগরীর কোতোয়ালী, ডবলমুরিং, খুলশী এবং পাঁচলাইশ থানায় নতুন পুলিশিং কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। পরবর্তীতে সিএমপি’র সব কটি থানায় চালু হবে আধুনিক কায়দায় পুলিশিং।
ইতোমধ্যে এ চার থানায় পাঁচ শতাধিক পুলিশ সদস্যদের আধুনিক কায়দায় পুলিশিং কার্যক্রমের উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে নতুন করে একশ জন সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। সকল পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া শেষে নগরীর ১৬ থানায় চালু হবে এ কার্যক্রম।
সিএমপি পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, ‘এখন অপারেশন চালাতে গেলে এক হাতে অস্ত্র ধরে রাখতে হয়, অন্য হাতে ধরতে হয় আসামীকে। ট্যাকটিক্যাল বেল্ট কার্যক্রম শুরু হলে পুলিশের দুই হাতই থাকবে ফ্রি। থাকবে না এক হাতে অস্ত্র ধরে রাখার ঝামেলা। এতে করে কাজে অনেক গতি আসছে।’
সিএমপি’র খুলশী থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘খুলশী থানার সিংহভাগ পুলিশ সদস্যের ট্যাকটিক্যাল বেল্টের উপর প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। পুলিশিং কার্যক্রমে আধুনিকতার ছোঁয়ায় কারণে সার্বিক কার্যক্রমে অনেক গতিশীলতা আসছে। অপারেশনাল কার্যক্রম অনেক সহজ হবে।’
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর