পাসপোর্টের চাহিদা দিন দিন বাড়লেও চট্টগ্রামের দুটি পৃথক পাসপোর্ট অফিসে দীর্ঘ ৮ বছর ধরেই ‘অলস’ পড়ে আছে মেয়াদোত্তীর্ণসহ প্রায় ১০ হাজার মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি)। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকলেও আবেদনকারীরা না নেয়ায় পাসপোর্টগুলোর স্তুপে জমে যাচ্ছে ময়লাও।
পৃথক পাসপোর্ট অফিসের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় আঞ্চলিক পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে ২০১৩ সাল থেকে মেয়াদোত্তীর্ণসহ এমআরপি পাসপোর্ট প্রায় ৫ হাজার, চান্দগাঁও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ৫ হাজারের উপরে পাসপোর্ট পড়ে আছে বিভিন্ন অফিসে। দীর্ঘ বছর ধরেই পড়ে থাকা এসব পাসপোর্ট নেয়ার জন্য স্ব স্ব কর্তৃপক্ষ একাধিকবার চিঠি দিলেও কোন ধরনের উত্তর এখনও পাননি বলে জানান দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় আঞ্চলিক পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মো. আবু সাঈদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দীর্ঘ বছর ধরেই পড়ে থাকা ৪ হাজার ৯’শ ৯৫টি পাসপোর্টের মধ্যে ৬’শ এর উপরে রয়েছে মেয়াদোত্তীর্ণ। তাদের মধ্যে ২০১৩ সাল থেকে ২০২০ সালের পাসপোর্ট রয়েছে। এসব পাসপোর্টের বিষয়ে আবেদনকারীদের বরাবরে একাধিকবার চিঠি দেয়া হলেও কোন ধরনের উত্তর পায়নি। ফলে বছরের পর বছর পরেই রয়েছে এসব পাসপোর্টগুলো।
চান্দগাঁও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মাসুম হাসান বলেন, প্রায় ৮ বছর ধরেই পাঁচলাইশ অফিসে রয়েছে ৫ হাজার ১’শ ৬৮টি পাসপোর্ট। নতুন নতুন এমআরপি এবং ই-পাসপোর্টের আবেদনের কারণে পুরনো পাসপোর্টগুলোর স্তুপ বেড়েই চলেছে। এসব পাসপোর্টের উপর পড়ছে ময়লাও। তবে বারবার চিঠি দেয়া হলেও আবেদনকারীদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বা কেউই নিতে আসছে না বলে জানান তিনি।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিভাগীয় আঞ্চলিক পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস এবং চান্দগাঁও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জমে থাকা আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন পাঁচলাইশ, চান্দগাঁও, কোতোয়ালী, চকবাজার, বাকলিয়া, কর্ণফুলী থানা, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী, আনোয়ারা, পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, বাঁশখালী ও লোহাগাড়া উপজেলার বাসিন্দারা।
সাইফুল মালেক নগরীর কোতোয়ালী থানা এলাকায় তার বাড়ি। ৩ হাজার ৪৫০ টাকা অরিডিনারি (সাধারণ) ফি জমা দিয়ে ২০১৬ সালে জুন মাসের শেষ সপ্তাহে পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জমা দিয়েছিলেন। পরে পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষে মাসখানেকের মধ্যে ঢাকা থেকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টটি (এমআরপি) প্রস্তুত হয়ে পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জমা রয়েছে দীর্ঘ দিন ধরেই। এই পাসপোর্ট এখনও পড়ে আছে অফিসে। এভাবেই পৃথক দুটি পাসপোর্ট অফিসে পড়ে আছে হাজার হাজার পাসপোর্ট।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন