ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ১০ দিন ছুটির পর গতকাল থেকে খুলেছে সরকারি অফিস। তবে প্রথম দিনেই খুলনায় সড়কে অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়ি, যানজট, কাদাপানির ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিববাড়ী মজিদ সরণিতে সড়কে প্রশস্ততা বাড়াতে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে কেসিসির ঠিকাদার। ভারী মেশিন এক্সকেভেটর দিয়ে সড়কে এক পাশ খুঁড়ে ফেললে সেখানকার প্রতিষ্ঠানগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দীর্ঘ ছুটির পর ব্যাংক-বিমাপ্রতিষ্ঠান খুললেও খোঁড়াখুঁড়ির কারণে সেখানে ঢুকতে বেগ পোহাতে হয় গ্রাহকদের। একইভাবে কেডিএ অ্যাপ্রোস রোডে চলছে খুলনা ওয়াসার পয়োনিষ্কাশন পাইপলাইন বসানো কাজ। সড়কের মাঝে বিশাল গর্ত করে চারপাশে চলছে ইট-বালু ভরাটের কাজ। যানবাহন চলাচল বিঘ্নতায় যানজট ছড়িয়ে পড়ে নিউমার্কেট এলাকা থেকে মজিদ সরণি শিববাড়ী-সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত। দুপুর ১২টার দিকে আকাশ কালো হয়ে নামে এক পশলা বৃষ্টি। মুহূর্তে কাদাপানি মাখামাখি হয় খুঁড়ে রাখা স্থানগুলোতে। ফলে প্রথম কর্মদিবসেই ভোগান্তি পড়েন অনেকে। কেসিসির কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী ৩০ জুন নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মেরামত ও সংস্কার প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ফলে শেষ মুর্হূতে অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করা হচ্ছে। নগরবাসীর অভিযোগ, ঈদের লম্বা ছুটিতে সড়ক অনেকটাই ফাঁকা ছিল। সেই সময় খোঁড়াখুঁড়ির কাজগুলো করলে ভোগান্তি এড়ানো যেত। সচেতন নাগরিকদের সংগঠন খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার বলেন, উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়হীনতার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ে।