১৪ জানুয়ারি, ২০২১ ১৫:৪৪

করোনাভাইরাস: চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে বসবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়াশিং প্ল্যান্ট

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

করোনাভাইরাস: চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে বসবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়াশিং প্ল্যান্ট

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে বসানো হবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়াশিং প্ল্যান্ট। এই প্ল্যান্টে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে কর্মরতদের ব্যবহৃত পোশাক ও রোগীর শয্যায় ব্যবহৃত কাপড় পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা হবে। ইতোমধ্যে এটি স্থাপনে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে এটি বসানোর চূড়ান্ত প্রক্রিয়া চলছে। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান এটি সরবরাহ করছে।             

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, করোনার প্রথম থেকেই চট্টগ্রামের ডেডিকেটেড হাসপাতাল ঘোষণা করা হয় ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালকে। বর্তমানে এখানে ১৫০টি আধুনিক শয্যায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু করোনা ওয়ার্ডে কর্মরত চিকিৎসক-নার্স এবং শয্যায় ব্যবহৃত বিছানার চাদর বেডশিট জীবাণুমুক্ত করার মত উপযুক্ত ব্যবস্থা ছিল না। 

ফলে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও রোগীর ব্যবহৃত পোশাক এবং শয্যায় ব্যবহৃত কাপড় পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে নানাভাবে সমস্যায় পড়তে হতো। এগুলো বাইরে থেকেই ওয়াশ করে আনতে হত। পরিষ্কারের পরও জীবাণু থাকার শঙ্কা থেকে যেত। কিন্তু এখন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়াশিং প্ল্যান্টে এসব পোশাক ও কাপড় পরিষ্কার-জীবাণুমুক্ত করা সম্ভব হবে। 

বর্তমানে এ হাসপাতালে ৯০ জন চিকিৎসক, ১৫০ জন নার্স ও তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মিলে প্রায় ৩০০ জন কর্মরত আছেন। ওয়ার্ড বয়, আয়া, ঝাড়–দার, কুক মশালচি, ইলেক্ট্রিশিয়ান ও মালী আছেন ৩৬ জন। এসব কর্মরতদের পোশাক এখন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়াশিং প্ল্যান্টে জীবাণুমুক্ত করা হবে।  

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ বলেন, হাসপাতালে কর্মরত এবং রোগীর কাপড় পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করাটা একটা ঝামেলার কাজ ছিল। বাইরে থেকে এ কাজ করতে হয়। বিশেষ করে বর্ষাকালে  সমস্যায় পড়তে হত। কিন্তু এখন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান এটি স্থাপন করে  দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে এটি  স্থাপন করা হবে।’ 

জানা যায়, প্রতিদিনই নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। গত বুধবার  ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ৮টি ল্যাবে ১ হাজার ৭৯৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭৪ জন। বর্তমানে মোট আক্রান্ত হয়  ৩১ হাজার ৮৩৩ জন। ইতোমধ্যে মারা যান ৩৬৫ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৯ হাজার ৯২০ জন।    

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর