'পেশার প্রতি নিবেদিত প্রাণ সাংবাদিক দিদারুল আলম দেশ ও মানুষের প্রতিও দায়বদ্ধ ছিলেন। যে কোনো সময় সহকর্মীদের খোঁজ খবর রাখতেন। ভাল-মন্দ খবর নিতেন। পাশে থাকতেন।আন্তরিক আচরণের কারণেই সবার কাছেই সমাদৃত ছিলেন। ফলে তিনি ছিলেন সবার কাছে সমান জনপ্রিয়।'
বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিনিয়র আলোকচিত্র সাংবাদিক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ানের সাবেক নির্বাহী সদস্য দিদারুল আলমের শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে এমনটাই বলেছেন আলোচকগণ। চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ি কর্ণফুলী টাওয়ারস্থ বাংলাদেশ প্রতিদিনের চট্টগ্রাম অফিসে এই শোক সভা ও দোয়া মাহফিল মঙ্গলবার ২৪ আগস্ট বাদ আছর অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ প্রতিদিন চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ানের সাবেক সহ সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমের ডেপুটি এডিটর তপন চক্রবর্তী, ডেইলি সানের চট্টগ্রাম ব্যুরো ইনচার্জ নুর উদ্দিন আলমগীর, কালের কণ্ঠের সিনিয়র সহ সম্পাদক রশীদ মামুন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিনিয়র রিপোর্টার মুহাম্মদ সেলিম প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দিদারুল আলমের স্ত্রীর বড় ভাই মাহবুবুল আলম, সিইউজে প্রতিনিধি ইউনিটের প্রধান সাইদুল ইসলাম, ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের পক্ষে উজ্জল কান্তি ধর ও সোহেল সারওয়ার, সাংবাদিক ওমর ফারুক, মিনহাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম নিউজের মো. সাহাবুদ্দিন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নুরুল আজাদ ও আশরাফ উল্লাহ, কালের কণ্ঠের আলমগীর হায়দার ও নিজাম উদ্দিন আহমেদ।
আলোচনা সভার আগে বাংলাদেশ প্রতিদিন অফিসে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন কাজির দেউড়ি ১নং গলি জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মোশাররফ হোসেন। মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা তাজুল ইসলাম।
দোয়া মাহফিলের বিশেষ মোনাজাতে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, ইস্ট ওয়েস্ট গ্রুপের সকল সহকর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ সকল সংবাদ মাধ্যমের সহকর্মীদের জন্যও দোয়া করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা ৭ মিনিটে দিদারুল আলম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা আইসিইউ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। মৃত্যুকালে তিনি মা, বাবা, স্ত্রী, এক কন্যা, ভাই-বোনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিনিয়র ফটো জার্নালিস্ট হিসাবে কর্মরত ছিলেন। চট্টগ্রাম ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনেরও সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও তিনি কর্মজীবনে দৈনিক যুগান্তর, ইংরেজি পত্রিকা দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্টসহ বিভিন্ন দৈনিকে কাজ করেন।
আলোচনায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ মরহুমের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে ভবিষ্যতে যে কোনো দুঃসময়ে তাদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল