ঈদের টিকিট সংগ্রহ করতে নারীদের ‘বিশেষ ব্যবস্থা’ রেখেই ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রয় শুরু হয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রীর ভিড়ে নারীদের যাতে টিকিট নিতে সমস্যা না হয় সেজন্য আলাদা কাউন্টারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ট্রেনের এই টিকিট কাটতে যাত্রীদের এনআইডি অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার দেয়া হয়েছে ২৭ এপ্রিলের টিকিট। তবে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন কাউন্টারে যাত্রীদের ভিড় তেমন দেখা যায়নি।
ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে আসা আজম বলেন, ট্রেনের টিকিট পেতে তেমন কোন কষ্ট হয়নি। কাউন্টারে তেমন লোকজন ছিলেন না। আগামী ২৭ এপ্রিলের টিকিট পেয়েছেন। তবে পরিচয়পত্রের ফটোকপি দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তাহের নামে একজন বলেন, অনলাইনে টিকিট কেটেছি। রেল স্টেশনে টিকিটটি প্রিন্ট কপি নেয়ার জন্য এসেছি। দেরি হয়নি, টিকিট নিয়েই চলে যাচ্ছি। তবে সকালের দিকে অনলাইনে টিকিট নেওয়ার সময় সার্ভারে সমস্যা ছিল বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার দে বলেন, সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত যাত্রীরা চট্টগ্রাম স্টেশনের ১০টি কাউন্টার থেকে ঈদের অগ্রিম টিকিট কিনতে পারবেন। রেল স্টেশন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত আছেন। এখন ১০টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট অগ্রিম বিক্রি করা হলেও ঈদের সময় প্রতিদিন লোকাল ট্রেনগুলো চলবে। এছাড়া চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ২টি স্পেশাল ট্রেন চলবে। এখানে নারীদের জন্য আলাদা কাউন্টারে ‘বিশেষ ব্যবস্থা’য় টিকিট সংগ্রহ করা যাবে।
তিনি বলেন, আগামী ২৯ বা ৩০ এপ্রিলের টিকিটের জন্য ভিড় বাড়তে পারে। ঈদের টিকিট বিক্রয়ের প্রথমদিনে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্টেশনগামী ট্রেনের জন্য প্রায় ছয় হাজার টিকিট বরাদ্দ রাখা হয়। তবে সকালের দিকে সার্ভারে একটু সমস্যা থাকলেও তা দ্রুত ঠিক হয়ে যায় বলেও জানান তিনি।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে ১ থেকে ৮ নম্বর কাউন্টারে আলাদা আলাদা ট্রেনের টিকিট দেওয়া হবে। ১ নম্বর কাউন্টারে নারী, ওয়ারেন্ট ও রেলওয়ের পাশ টিকিটের জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ২ নম্বর কাউন্টারে সুবর্ণ ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেস (স্নিগ্ধা ও শোভন চেয়ার), ৩ নম্বর কাউন্টারে পাহাড়িকা ও উদয়ন, ৪ নম্বর কাউন্টারে মহানগর গোধূলী ও মহানগর এক্সপ্রেস, ৫ নম্বর কাউন্টারে তূর্ণা এক্সপ্রেস, ৬ নম্বর কাউন্টারে চট্টলা ও বিজয় এক্সপ্রেস (স্নিগ্ধা, শোভন চেয়ার ও শোভন), ৭ নম্বর কাউন্টারে মেঘনা এক্সপ্রেস, চাঁদপুর স্পেশাল ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে।
তাছাড়া উক্ত কাউন্টার ছাড়া বাকি কাউন্টারে অন্যান্য ট্রেনের টিকিট দেওয়া হবে। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রতিদিন ছেড়ে যাওয়া বিভিন্ন রুটে ১০ আন্তঃনগর ট্রেনের ৭ হাজার ৩৪টি টিকিট বিক্রি করা হবে। এর মধ্যে অর্ধেক টিকিট চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের কাউন্টারে এবং অর্ধেক অনলাইনে পাওয়া যাবে। যাত্রীদের দেওয়া হচ্ছে ২৭ এপ্রিল থেকে ১ মে এর অগ্রিম টিকিট। ২৪ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২৮ এপ্রিলের, ২৫ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২৯ এপ্রিলের, ২৬ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ৩০ এপ্রিলের এবং ২৭ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ১ মে এর টিকিট।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন