চট্টগ্রামে লক্ষ্যমাত্রার ৮৫ শতাংশ ধান কৃষকের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছে খাদ্য অধিদপ্তর। পাশাপাশি চাল সংগ্রহ করা হয়েছে ৪ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন। সরকারের পাশাপাশি খোলা বাজারেও চাল বিক্রি করে কৃষক ভালো দাম পাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক চট্টগ্রামের সহকারী উপ-পরিচালক দোলন দেব বলেন, আমাদের বিভাগে আমরা যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি সেভাবে কাজ করে যাচ্ছি। কৃষকের কাছ থেকে আমরা প্রতি কেজি চাল ৪১ টাকা ও ধান ২৮ টাকা করে ক্রয় করতেছি। ধান ও চাল সংগ্রহের মূল লক্ষ্য হচ্ছে কৃষক যেন ন্যায্যমূল্য পায়। আমরা দেখছি কৃষক ভালো দাম পাচ্ছে, সরকারের যে উদ্যোগ তাতে কৃষক যেমন লাভবান হচ্ছে এবং চাষাবাদেও আগ্রহ হচ্ছে।
চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আবদুল কাদের বলেন, আমরা কৃষক থেকে যে ধান সংগ্রহ করছি তা আমরা সরাসরি মিলে নিয়ে যেতে পারি এমন ধান সংগ্রহ করছি। অনেক সময় ধান ভালোভাবে সংরক্ষণ না করার কারণে আমরা ফেরত দিচ্ছি কৃষককে। এতে করে তারা খোলা বাজার ও বেসরকারি ভাবে বিক্রি করছে ভালো দামেই। এছাড়াও আমরা যে দামে ক্রয় করছি তার থেকে ভালো দাম পাচ্ছে।
বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরকারি খাতে ধান ও চাল বিক্রি করার চেয়ে বাইরে মিল মালিক ও খোলা বাজারে ভালো দাম পাচ্ছে। এক সময় ভালো দাম না পাওয়ার কারণে কৃষি কাজে আগ্রহ হারালেও এখন কৃষি কাজে আত্মনিয়োগ করছে অনেক শিক্ষিত তরুণরাও।
খাদ্য নিয়ন্ত্রক সূত্র জানায়, একজন তালিকাভুক্ত কৃষক তিন টন ধান সরকারিভাবে বিক্রি করতে পারবেন। সেই তালিকা অনুযায়ী এবার চট্টগ্রাম বিভাগে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪২ হাজার ৭২১ টন মেট্রিক টন। তার মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় ৯ হাজার ২৩৫ মেট্রিক টন, কক্সবাজারে ৪ হাজার ৩৫ টন, রাঙামাটিতে ৩২৮ টন, খাগড়াছড়িতে ১ হাজার ২৪১ টন, বান্দরবানে ৬১০ টন, নোয়াখালীতে ৮ হাজার ৪৬১ টন, লক্ষীপুরে ৪ হাজার ২৭৮ টন, ফেনীতে ৩ হাজার ৮০৫, কুমিল্লাতে ৬ হাজার ১০ টন, ব্রাহ্মণবাড়িতে ২ হাজার ৯৩৪ টন, চাঁদপুরে ১ হাজার ৩২৪ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ হাজার ১৮ মেট্রিক টন। তার মধ্যে তিন পাবর্ত্য জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি এবং কক্সবাজারে সিদ্ধ চাল নাই। সিদ্ধ চাল সংগ্রহে চট্টগ্রামে ৮০৬ টন, নোয়াখালীতে ১০ হাজার ১৯১ টন, লক্ষ্মীপুরে ৩ হাজর ৮০৫ টন, ফেনীতে ২ হাজার ৭১৩ টন, কুমিল্লাতে ১১ হাজার ৩০২ টন, ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে ১৭ হাজার ১৭৬ টন ও চাঁদপুরে ৪ হাজার ২৪ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছে খাদ্য অধিদপ্তর। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত এসব এলাকা থেকে ধান ও চাল সংগ্রহ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত