স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য সবার আগে প্রয়োজন স্মার্ট জনবল। ভবিষ্যতে কাস্টমসকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে পারস্পরিক জ্ঞান বিতরণ এবং উত্তম পেশাদারিত্ব অর্জনই আমাদের আগামীর প্রত্যয়। তাই রাজস্ব আহরণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, শিল্পের বিকাশ, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা, পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা নিরবচ্ছিন্ন রাখা এবং ক্ষতিকারক পণ্যের গমনাগমন নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণে কাজ করছে কাস্টমস।
আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস আয়োজিত সেমিনারে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের কমিশনার একেএম মাহবুবুর রহমান এ কথা বলেন।
কাস্টম হাউসের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্যাক্সেস আপিলাত ট্রাইব্যুাল চট্টগ্রামের সদস্য মোছা. সফিনা জাহান, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামের কমিশনার সৈয়দ মুসফিকুর রহমান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের সহ সভাপতি এএম মাহাবুব চৌধুরী ও চট্টগ্রাম উইম্যান চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবিদা মোস্তফা। সভাপতিত্ব করেন কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমির মহাপরিচালক মো. মাহবুবুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডেপুটি কমিশনার খাদিজা পারভিন সুমি ও মো. আহসানুল্লাহ। মোরশেদ আলমের পরিচালনায় বাংলাদেশ কাস্টমসের কার্যক্রমের ওপর তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। এবারের কাস্টমস দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের লালনঃ কাস্টমসে জ্ঞানচর্চার সংস্কৃতি ও উত্তম পেশাদারিত্বের বিকাশ’।
কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের কমিশনার একেএম মাহবুবুর রহমান এ কথা বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে বিভিন্ন দেশের কাস্টমস কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ব্লক চেইন, ক্লাউড কম্পিউটিং এবং বিগ ডাটাসহ আধুনিক প্রযুক্তি কাস্টমস কার্যক্রম দ্রুতকরণ এবং ঝুঁকি নিবারণে সফলভাবে ব্যবহার করছে। আমাদের আশা, ভবিষ্যতে স্টেকহোল্ডারদের উপস্থিতি ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাংলাদেশ কাস্টমস সেবা দেবে। এজন্য আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে একটি অটোমেটেড পেপারলেস কাস্টমস সিস্টেম তৈরি করা আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পণ্য চালান জাহাজীকরণ ও খালাস দ্রুততর করা এবং ব্যবসার খরচ উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা আমাদের মূল লক্ষ্য।
বিডি প্রতিদিন/এএম
