চট্টগ্রামে ছয় দিনব্যাপী বিজয় মেলা শুরু হয়েছে। বুধবার সকালে সার্কিট হাউজ সংলগ্ন পরিত্যক্ত শিশুপার্কের মাঠে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন মেলার উদ্বোধন করেন। বিজয়ের ৫৩ বছর পূর্তিতে ‘চলো দুর্জয় প্রাণের আনন্দে’ প্রতিপাদ্য নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এ মেলার আয়োজন করে।
মেলায় প্রতিদিনের আয়োজনে আছে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও বিজয়ের কথামালা, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৯’র গণ অভ্যুত্থান, ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০’র গণ অভ্যুত্থান ও ২৪’র গণ অভ্যুত্থানের মূল্যবোধ বিষয়ক স্মৃতিচারণ।
বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন বলেন, আমরা শুধু কর্মের মধ্যে থাকব না। আমাদের যে নিজস্ব কৃষ্টি-কালচার রয়েছে এই সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ মেলাতেই হয়ে থাকে। তাই মেলা করার জন্য সকলের মতামতের ভিত্তিতে একটি স্থান আমরা খুঁজে বের কবর। মাঠের প্রয়োজনীয়তা আপনারাই ভালো বলতে পারবেন। আমাদের কাজ হচ্ছে আপনাদের চাওয়া পাওয়াকে রূপায়ন করা।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন বৈষম্যবিরোধী গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি সেখানে বৈষম্যমুক্ত একটা বাংলাদেশ গড়ার আমাদের প্রত্যয় রয়েছে। সেক্ষেত্রে আমাদের কৃষ্টি, আমাদের কালচার সবকিছুকে তুলে ধরতে হবে। সেই তুলে ধরার জন্য সত্যিই একটি মেলার মাঠের প্রয়োজন। যেখানে আমরা বাঙালি সংস্কৃতির বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। সেই মাঠে বইমেলাসহ বিভিন্ন মেলার উদযাপনও যাতে করতে পারি।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার ফারজানা নাজনীন সেতুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব আহমেদ নেওয়াজ। বক্তব্য রাখেন দেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সচিব ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিএমইউজে) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম ও ছাত্র প্রতিনিধি মো. জোবায়ের। উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা দল চট্টগ্রাম উত্তর-দক্ষিণ-মহানগর নির্বাহী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলু বারিক, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) মো. নোমান হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল.এ) একেএম গোলাম মোর্শেদ খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সৈয়দ মাহবুবুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. শরীফ উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাদি উর রহিম জাদিদ প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এএম