চট্টগ্রামে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি)’র ফুটেজেই ধরা পড়ে লায়লী বেগম নামের এক নারীর মৃত্যুর রহস্য।
ঘটনাস্থলে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে পুলিশ তথ্য পেয়েছে, উক্ত নারী নিজেই শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে এ ঘটনায় লায়লীর শরীরে আগুন দিয়ে তাকে হত্যা করার অভিযোগে পুলিশ তার স্বামী ইউছুফ শেখকে (২৫) গ্রেফতার করলেও ফুটেজে এর প্রমাণ মেলেনি বলে জানান বায়েজিদ থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে জায়গা না পেয়ে অভিমানে লায়লী বেগম নিজেই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গত ২০ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বায়েজিদ বোস্তামি থানার বাংলাবাজার এলাকায় ড্রিমল্যান্ড হাউজিং সোসাইটির সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিদগ্ধ লায়লী বেগম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গভীর রাত ১টার দিকে মারা যান।
বায়েজিদ থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন আরো বলেন, আরো তদন্তের আগ পর্যন্ত এসব বিষয় নিশ্চিত করে বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। তাকে কেউ আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, বায়েজিদের বাংলাবাজার ঢেবারপাড় এলাকায় জনৈক মনির হোসেনের সঙ্গে লায়লী বেগমের বিয়ে হয়েছিল। তাদের ঘরে ফাতেমা আক্তার রিয়া (৮) এবং মিজানুর রহমান (৪) নামে দুই সন্তান আছে। তার আগে লায়লী বেগমের সঙ্গে স্থানীয় ইউছুফ শেখের পরিচয় হয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর বছরখানেক আগে লায়লী বেগম তার স্বামী মনিরকে তালাক দেন। এসব বিষয়ে অভিমান করে আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/ ০১ ফেব্রুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন