আদালতের আদেশ সত্ত্বেও পরিবার ও গ্রামবাসীর আপত্তিতে জুলাই আন্দোলনে শহীদ চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের মাসুদ রানার মরদেহ উত্তোলন কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। ফলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মরদেহ উত্তোলন না করেই ফিরে যান।
ঢাকা সিএমএম আদালতের আদেশে সোমবার (৩ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মরদেহ উত্তোলনের উদ্দেশ্যে কয়রাডাঙ্গা গ্রামে আসেন সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল নাঈম। পরে পরিবারের আপত্তিনামা নিয়ে ফিরে যান তিনি।
জানা যায়, জুলাই আন্দোলন চলাকালীন ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট মিরপুর-১০ গোলচত্বরে গুলিবিদ্ধ হন মাসুদ রানা। পরে ঢাকা নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পরে নিজ গ্রাম কয়রাডাঙ্গায় তার দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।
তার মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে পুলিশ বাদী হয়ে মরদেহ উত্তোলনের জন্য ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে আবেদন করে। বিজ্ঞ সিএমএম আদালত জুলাই আন্দোলনে শহীদ মাসুদ রানার মরদেহ উত্তোলনের আদেশ দেন। পরে সোমবার বেলা ১১টায় শহীদ মাসুদ রানার মরদেহ উত্তোলনের সময় নির্ধারণ করা হয়। তার সমাধিতে মরদেহ উত্তোলনের জন্য গেলে পরিবারের সদস্যরা এতে আপত্তি জানান এবং তারা সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল নাঈমের নিকট একটি আপত্তিনামা জমা দেন। এরপর মাসুদ রানার মরদেহ উত্তোলন স্থগিত করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল নাঈম, আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান, উপপরিদর্শক (এসআই, তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ ও জেলা পুলিশের একটি টিম।
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি