ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জে মুক্তিপণ দেওয়ার পর খুন হওয়া শিশু আবদুল্লাহ হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির আশ্বাস দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
বুধবার সকালে মন্ত্রী নিজ নির্বাচনী এলাকায় রোহিতপুর ইউনিয়নের মুগারচর গ্রামে আবদুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মা ও স্বজনদের এ আশ্বাস দেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হবে। আর তিন থেকে চার মাসের মধ্যে এ মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন হবে এবং হত্যার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
কামরুল ইসলাম বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে এ মামলার তদবির করব। নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই। এ পরিবারের জন্য যা করার, আমি সব করব।
এ সময় উপজেলার চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, ঢাকার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ, কেরানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
পারিবাবিক সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার মাঠে ক্রিকেট খেলার কথা বলে বের হলে আর বাড়ি ফেরেনি আব্দুল্লাহ। পরে তার মা, এক চাচা ও বাসার পাশের এক ফার্মেসি দোকানির মোবাইল নম্বরে অন্য একটি (০১৮৭৯৩৬১৭৯৫) নম্বর থেকে এসএমএস আসে— ‘সন্ধ্যার মধ্যে বিকাশ' করে সাড়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দেওয়া হলে আব্দুল্লাহকে ছেড়ে দেওয়া হবে। অন্যথায় শিশুটিকে হত্যা করা হবে।
তারা আরও জানান, অপহরণকারীদের শর্ত মতো তাদের দেওয়া একটি বিকাশ নম্বরে শনিবার রাতেই এক লাখ এবং রবিবার দুপুরে আরও এক লাখ টাকা পাঠানো হয়। এরপরই বন্ধ হয়ে যায় অপহরণকারীদের মোবাইল নম্বরটি। ঘটনার দিন রাতে আমাদের বাসায় পোশাকধারী পুলিশ হাজির হওয়ার কারণে অপহরণকারীরা তাদের মোবাইল নম্বর বন্ধ করে দেয়। মোবাইল বন্ধ করার আগে তারা এসএমএস দেয়— ‘আপনারা পুলিশে খবর দিয়েছেন, আমরা নিষেধ করার পরও পুলিশ বাসায় আসছে কেন? বিষয়টি খুব খারাপ হয়েছে!
বিডি-প্রতিদিন/০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব