পুলিশকে চাঁদা না দেওয়ায় রাজধানীর মিরপুরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রাণ দিতে হলো বাবুল মাতব্বর নামের এক চা দোকানদারকে। বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে তিনি মারা যান।
বাবুলের বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাটে। রাজধানীর মিরপুর গুদারা ঘাট এলাকায় তিনি থাকতেন।
পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, বুধবার রাতে রাজধানীর মিরপুরের শাহআলী থানা সংলগ্ন কিংশুক মাঠের পাশে অবস্থিত বাবুল মাতব্বরের চায়ের দোকানে সোর্সসহ চাঁদা চাইতে যায় পুলিশ। বাবুল চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে কথোপকথনের এক পর্যায়ে কেরোসিনের চুলায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে পুলিশ। পরে স্টোভের আগুন থেকে বাবুলের শরীরে আগুন ধরে যায়।
এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাবুলকে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয় বলে জানান চিকিৎসকরা। পুড়ে যায় তার শ্বাসনালী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বাবুল।
এদিকে, মিরপুর শাহ আলী থানার উপ-পরিদর্শক শাহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ হামলার সঙ্গে পুলিশের কোনও সদস্য জড়িত নয়। তবে অভিযুক্ত দেলোয়ার পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে এবং পুলিশ তাকে ধরার চেষ্টা করছে।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গতকাল রাতে পুলিশের পোশাকধারী সোর্স বাবুলের চায়ের দোকানে চাঁদা চাইতে গিয়েছিল। গত কয়েকদিন ধরেই তারা ওই দোকানে চাঁদা চেয়ে আসছিল।
এই ঘটনায় শাহ আলী থানায় ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পারুল বেগম নামে এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শাহীন মন্ডল তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাদক ব্যবসায়ী পারুল বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারাই বাবুলের দোকানে হামলা চালিয়েছিল।
তবে এ ঘটনায় কোনও পুলিশকে এখনও আসামি করা হয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ