ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদ থেকে প্রফেসর ড. আফজাল হোসেনকে গত বছরের ২৫ নভেম্বর অব্যাহতি দেওয়ার পর থেকে সাত মাস ধরে পদটি শূন্য রয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এদিকে শূন্য থাকা কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকরা সরকারের উচ্চমহলে ব্যাপক লবিং-গ্রুপিং শুরু করে দিয়েছেন। এদের সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষক বলে জানা গেছে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৫ নভেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষের পদ থেকে প্রফেসর ড. আফজাল হোসেনকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। এর পর থেকে সাত মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গুরুত্বপূর্ণ পদটি শূন্য রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি, প্রো-ভিসির পরে কোষাধ্যক্ষের পদটি তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদ। এ পদটি দীর্ঘদিন শূন্য থাকায় প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। কোষাধ্যক্ষের দাপ্তরিক কাজ ভিসিকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে করতে হচ্ছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসন ভবনের এক ডেপুটি রেজিস্ট্রার বলেন, 'কোষাধ্যক্ষের পদ শূন্য থাকায় প্রশাসনিক কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফাইলপত্র সময়মত অনুমোদন না হওয়ায় ফাইলজট ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। স্বাভাবিক নিয়মে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম চলছে না। অপছন্দের ফাইল মাসের পর মাস পড়ে থাকছে টেবিলে।
এদিকে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী কোষাধ্যক্ষ কে হচ্ছেন এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের প্রফেসর ড. কাজী আকতার হোসেন, আইন বিভাগের প্রফেসর ড. সেলিম তোহা, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান, ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রফেসর ড. জাকারিয়া রহমান, বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. সাইদুর রহমান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান ও প্রফেসর ড. আক্তারুল ইসলাম জিল্লু জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ‘কোষাধ্যক্ষ আফজাল হোসেনকে স্বপদে বহাল রেখে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা সম্ভব নয়’ উল্লেখ করে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে চিঠি দিয়ে ছিলেন ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে নতুন কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে ৩ জন শিক্ষক নেতার নামের তালিকা জমা দেন ভিসি।
বিডি-প্রতিদিন/২০ জুন ২০১৬/শরীফ