আসন্ন ঈদে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে সরকারের কাছে ১১ দফা দাবি জানিয়েছে 'আমরা সন্দ্বীপবাসী' নামের একটি সংগঠন। আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র কার্য-নির্বাহী সদস্য ডা. রফিকুল মাওলা এসব দাবি করেন।
১১ দাবির মধ্যে রয়েছে সন্দ্বীপবাসীর জন্য ঈদের আগে-পরে দুই সপ্তাহ কুমিরা-গুপ্তছড়া রুটে প্রতিদিন দু’বার করে স্টিমার চলাচল, সদরঘাট-গুপ্তছড়া রুটে সপ্তাহের প্রতিদিন স্টিমার সার্ভিস চালু, বিআইডব্লিউটিসির জাহাজে আসা-যাওয়া করা যাত্রীদের উঠানামার জন্য সি ট্রাকের ব্যবস্থা করা, কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাটে অনুমোদনহীন ঝুঁকিপূর্ণ নৌযান ও মালবাহী নৌযানে যাত্রী পারাপার বন্ধ করা, স্পিডবোটের ভাড়া নৌমন্ত্রীর নির্দেশিত ২০০ টাকা করে বাস্তবায়ন করা, ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী পরিবহন না করা ও স্টিমার-স্পিডবোটের প্রত্যেক যাত্রীর জন্যে লাইফ জ্যাকেট সরবরাহ, দুই তীরে প্রয়োজনীয় যাত্রী ছাউনি ও বাথরুমের ব্যবস্থা, ৩০ কেজি পর্যন্ত মালামালের ভাড়া না নেওয়া ও বকশিসের নামে হয়রানি বন্ধ করা, উভয় ঘাটে ভাড়ার তালিকা টাঙানো, সাগরিকা-গুপ্তছড়া রুট চালুর উদ্যোগ নিয়ে ১০০-২০০ যাত্রী ধারণক্ষমতার উন্নতমানের দ্রুতগতির স্পিডবোট চালু করা।
ডা. রফিকুল মাওলা বলেন, ‘চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ এবং বিআইডব্লিউটিসি এখনো পর্যন্ত চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ রুটে ঈদ উপলক্ষ্যে বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। কুমিরা-গুপ্তছড়া রুটে বিআইডব্লিউটিসির স্টিমার চলে নামমাত্র। স্বাভাবিক সময়ে এ রুটে দিনে তিন হাজারের মতো যাত্রী যাতায়াত করলেও স্টিমার সর্বোচ্চ ৫০০-৬০০ যাত্রী পরিবহন করতে পারে। ফলে দিনের বেশিরভাগ সময় অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ নৌযানে যাত্রী পারাপার করতে হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা সন্দ্বীপবাসীর’ সহকারী সমন্বয়কারী ফোরকান উদ্দিন রিজভী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক শোয়েব উদ্দিন, সন্দ্বীপ অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ কাসেম, চট্টগ্রাম বন্দরের সিবিএ নেতা মো. শাহজাহান।
বিডি-প্রতিদিন/২২ জুন ২০১৬/শরীফ