রাজশাহীর দুর্গম চর মাঝাড়দিয়াড়ের ৪০ চোরাকারবারি আত্মসমর্পণ করেছেন।
সোমবার বিকেলে চর মাঝাড়দিয়াড় এলাকার পদ্মার পারে এক জনাকীর্ণ অনুষ্ঠানে তারা আত্মসমর্পণ করেন।
এ সময় রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। পরে তিনি তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।
চর মাঝাড়দিয়াড় কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে আত্মসমর্পণকারীরা পুলিশের অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষরও করেন। এতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেন। আত্মসমর্পণকারীরা কথা দেন, আর কখনই অন্ধকারের পথে পা বাড়াবেন না তারা। পুলিশের পক্ষ থেকেও তাদের সর্বাত্মক সহযোগীতার আশ্বাস দেওয়া হয়। পরোয়ানা না থাকায় আত্মসমর্পণের সময় কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি।
রাজশাহী শহরের ওপারেই ভারতীয় সীমান্ত লাগোয়া এলাকা চর মাঝাড়দিয়াড়। পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের দুর্গম একটি গ্রাম এটি। কৃষিকাজ ছাড়া এই চরের মানুষের আয়ের তেমন উৎস নেই। ফলে সীমান্তে অনেকেই জড়িয়ে পড়েন নানা অবৈধ কারবারে। আবার অনেক সাধারণ মানুষও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানির শিকার হন। এ অবস্থায় চরের ৪০ চোরাকারবারী পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আরএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যারা মাদকের কুফল সম্পর্কে অনুধাবন করতে পেরে আত্মসমর্পণ করলেন, আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। তারা সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়ান, এই কামনা করি। চোরাকারবার কোনো ভালো কাজ নয়। আশা করি, আর যারা চোরাচালানে জড়িত আছেন, তারাও অবৈধ কারবার ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবেন।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আরএমপির উপ-কমিশনার (সদর) তানভীর হায়দার চৌধুরী, উপ-কমিশনার (পশ্চিম) একেএম নাহিদুল ইসলাম, আরএমপির মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতেখায়ের আলম, পবা উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আশরাফুল হক তোতা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান) বজলে রেজবি আল হাসান মুঞ্জিল।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৮ নভেম্বর ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন