রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা কয়েকটি পত্রিকার বিরুদ্ধে হলুদ সাংবাদিকতার অভিযোগ এনে কঠোর সমালোচনা করেন। তারা অবিলম্বে হলুদ সাংবাদিকতা রোধে নতুন আইন প্রণয়ন এবং সংসদে তলব করে ওই সব পত্রিকার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি জানিয়েছেন।
সংসদ সদস্যদের দাবি, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রশ্নে যারাই আপসহীন, তারাই যেন ওই পত্রিকাগুলোর টার্গেটে পরিণত হচ্ছেন।
বুধবার রাতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাকালে সংসদ সদস্যরা এসব কথা বলেন। এ সময় সরকারদলীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান প্রধানমন্ত্রীসহ এমপিদের নিয়ে হলুদ সাংবাদিকতার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টার কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি এমপিদের নিরাপত্তার বিষয়ে স্পিকারের রুলিং দাবি করেন।
শামীম ওসমান বলেন, ‘তিনি (তথ্য উপদেষ্টা) সরকারের সুযোগ-সুবিধা নেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পরিচয় দেন, একাত্তরের পুরো সময় ধরে যিনি অবজারভারে চাকরি করেছেন, গোলাম আযমের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য যিনি স্বাক্ষর করেছেন, গোলাম আযমের সংগ্রামী জীবন বইয়ে যার নাম ও স্বাক্ষর রয়েছে, সেই ইকবাল সোবহান চৌধুরীর পত্রিকায় আমাকে মাদকসম্রাট বানাতে রিপোর্ট করেছে। এই সংসদের একজন সদস্যকে মাদকসম্রাট বানাচ্ছেন। এটা বিবেচনায় নিতে হবে। ’
জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ কিছু গণমাধ্যমের ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, ‘আমাদের মাঝে মাঝে আইটেম করা হয়, আমাদের নিয়ে রূপকথা সাজিয়ে গল্প লেখা হয়। মানুষ পড়ে আনন্দ উপভোগ করে, পত্রিকা চলে। কিন্তু আমাদের মান-মর্যাদা কোথায় যায় সেটা বুঝিয়ে বলতে পারব না। ’
বিডি প্রতিদিন/২৬ জানুয়ারি, ২০১৭/ সালাহ উদ্দীন