চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানবাজারে গ্যাস বিষ্ফোরণের পর সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ দাদি ছমুদা খাতুন ও নাতনি তনিমা আফরিন ইফতি মারা গেছেন। শুক্রবার গভীর রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। একই ঘটনায় মারাত্মক দগ্ধ হওয়া ইফতির ভাই মো. আরিফুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনা তদন্ত করতে আট সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার গভীর রাতে ছমুদা খাতুন তনিমা আফরিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তারা চমেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাদের শরীরের শতভাগ দগ্ধ হয়েছিল। একই ঘটনায় আহত আরিফুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তার শরীরের ২৫ ভাগ দগ্ধ হয়েছে।
তদন্ত কমিটি গঠন
গ্যাস বিষ্ফোরণের ঘটনা তদন্ত করতে আট সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। এতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মমিনুর রশিদকে প্রধান করা হয়। কমিটিতে কণফুলী গ্যাস সরবারহ কোম্পানি লি., পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক শামসুল আরেফিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ভোরে নগরীর দেওয়ানবাজার এলাকার নিরাপদ হাউজিং সোসাইটির মাদ্রাসা ভবনের (মাদ্রাসা নয়, আবাসিক ভবন) তৃতীয় তলায় ফ্ল্যাটে বিষ্ফোরণ হয়। এতে ভবনের ৩৫টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ১৮টিই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পুলিশ ধারণা করছে গ্যাসের চুলার লাইন লিকেজ হয়ে এ ঘটনা ঘটে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ