সাভারের আশুলিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় এক মাহিন্দ্রা চালককে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে যুবলীগ নেতার লোকজন।
মঙ্গলবার রাতে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকা থেকে শাহাদাৎ হোসেন নামের ওই চালককে তুলে ইয়ারপুর স্কুলের পাশে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে মারধর করা হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে যুবলীগ নেতাকর্মীরা চালককে ছেড়ে দেয়।
গাড়ী চালকের ছেলে সোহাগ রানা বলেন, তার বাবা আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার আব্দুল্লাপুর-বাইপাইল মহাসড়কে মাহিন্দ্রা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বেশ কয়েক মাস যাবৎ আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির সরকারের লোকজন প্রতিনিদন ১৭০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছে। তবে শাহাদাৎ হোসেন কয়েকদিন যাবৎ চাদা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। আর এ কারনে মঙ্গলবার গভীর রাতে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকা থেকে ৪/৫টি মোটরসাইকেল যোগে আট দশ জন নেতাকর্মী তার বাবাকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে তাকে ইয়ারপুর স্কুলের পাশের একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে গলা কেটে হত্যা করার জন্য প্রস্তুতি নেয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
এদিকে এ ঘটনার পর পরই ওই মাহিন্দ্রা চালকের ছেলে বিষয়টি আশুলিয়া থানা পুলিশকে অবহিত করে। পরে আশুলিয়া থানা পুলিশ চালককে উদ্ধারে নামে। পুলিশের উদ্ধার অভিযানের খবর যুবলীগ নেতার লোকজন জানতে পেরে চালককে মারধর করে ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা: আমজাদুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন তার অবস্থা খুব খারাপ রোগীকে উন্নত চিকিৎসা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আওয়াল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য এর আগে আশুলিয়ার চাঁদার সাতশ’ টাকা দিতে না পারায় রিকশা চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার গভীর রাতে আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে । এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/ ২৯ নভেম্বর, ২০১৭/ ই জাহান