রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে মানহানির মামলায় গ্রেফতার ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল হয়েছে।
সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন বলায় দায়ের মানহানির ওই মামলায় জামিন শুনানির জন্য রবিবার রংপুরের ওই আদালতে হাজির করতে সেখানে নেয়া হয়েছে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে।
হাজিরের আগে আদালতের প্রধান ফটক দখলে নিয়ে ঝাড়ু মিছিল করে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। সকাল ১১টা থেকে তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয় ব্যারিস্টার মইনুলকে।
এজন্য সকাল ৯টা থেকে রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ফটকে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী-অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বেলা ১১টায় জেলা যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববির নেতৃত্বে সেখানে ব্যারিস্টার মইনুলের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ঝাড়ু মিছিল করে।
এ সময় তারা ‘মইনুলের দুই গালে, ঝাড়ু মারো তালে তালে’ ‘মইনুলের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।
এছাড়াও সেখানে বিক্ষোভ করে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী তুহিন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান রনির নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা।
তবে বেলা ১২ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ব্যারিস্টার মইনুলকে আদালতে হাজির করা হয়নি।
এদিকে হাজিরা দিতে আসা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কারমাইকেল কলেজের সাবেক জিএস শহিদুল ইসলাম মিজু আদালত প্রাঙ্গণে জানান, আমাদের হাজিরা আছে। কিন্তু আদালতের গেট দখলে নিয়ে যেভাবে ঝাড়ু মিছিল করা হচ্ছে, তাতে আমরা আদালতে ঢুকতে পারছি না।
তিনি বলেন, এভাবে আদালত প্রাঙ্গণে ঝাড়ু মিছিল স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় আঘাত বলে মনে করি।
গত ১৬ অক্টোবর রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর টিভির টক-শোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন তাকে চরিত্রহীন বলার জেরে ২২ সেপ্টেম্বর রংপুর আদালতে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন রংপুরের যুব মহিলা লীগ কর্মী মিলি মায়া বেগম। ওইদিন সন্ধ্যায় তিনি ঢাকায় গ্রেফতার হন।
বিডি-প্রতিদিন/৪ নভেম্বর ২০১৮/আবুল কালাম