পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নান বলেছেন, বর্তমান সরকার সারাদেশের উন্নয়ন তথা পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে। এ উন্নয়ন তথা পরিবর্তন এক জায়গায় মিলিত হয়ে আমাদের (বাঙালির) আত্মপরিচয়ের বিকাশ ঘটাবে। সেজন্য দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি প্রয়োজন সংস্কৃতি ক্ষেত্রে উন্নয়ন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের শওকত ওসমান মিলনায়তনে জাতীয় গণগ্রন্থাগার দিবস ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত গণগ্রন্থাগার অধিদফতর আয়োজিত জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিষয়ক এই আলোচনা অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, বই শুধু মানুষের জ্ঞানার্জনের বাহনই নয়, বরং এটি মানুষের সৃজনশীলতা ও প্রতিভাকে জাগ্রত করতে সহায়তা করে।
তিনি বলেন, আলোকিত নতুন প্রজন্ম গড়ার জন্য সবাইকে গ্রন্থাগারমুখী হতে হবে। সুতরাং, সময় পেলে বই পড়তে হবে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল এনডিসি এর সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে মূল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ। স্বাগত বক্তৃতা করেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আশীষ কুমার সরকার।
বইকে সংস্কৃতির আধার উল্লেখ করে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, গ্রন্থাগারের উন্নয়নে ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের চারটি প্রকল্প চলমান রয়েছে যেগুলোর কাজ ২০২০ সাল নাগাদ শেষ হবে। তাছাড়া গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের তিনটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এর আগে আজ সকালে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা গণগ্রন্থাগার অধিদফতর চত্বর থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ও শাহবাগ মোড় ঘুরে এসে পুনরায় গণগ্রন্থাগার অধিদফতর চত্বরে এসে শেষ হয়।
বিডি প্রতিদিন/০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/আরাফাত