গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নিহত সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলামের দুই ভাই ও এক নারী ক্রেতা সাক্ষ্য দিয়েছেন আদালতে।
ঘটনার দিনের ভয়াবহ বর্ণনা তুলে ধরেছেন সাক্ষীরা। গতকাল ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। আদালতে সাক্ষ্য দেন নিহত এসি রবিউল ইসলামের ছোটভাই শামসুজ্জামান ও খালাত ভাই আনোয়ার হোসেন এবং রেস্তোরাঁর ক্রেতা নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজা করিমের স্ত্রী শারমিনা পারভীন। তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।
আদালতে শারমিনা পারভীন বলেন, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত ৮টার দিকে আমার স্বামী হাসনাত করিমসহ ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে ওই হোটেলে যাই। হোটেলে ঢুকে সেখানকার হল রুমের টেবিলে বসে অপেক্ষা করতে থাকি। ৩/৪ মিনিট পরেই দেখি- তিন/চারজন অস্ত্রসহ কাঁধে ব্যাগ নিয়ে হোটেলে প্রবেশ করে। প্রবেশ মাত্রই তারা গুলি করতে থাকে। এরপর আমাদের টেবিলের কাছে এসে জিজ্ঞাসা করে-আপনারা মুসলিম? আমরা মুসলমান জানালে তারা বলে, আপনাদের কোনো ক্ষতি করব না। আপনারা মাথা নিচু করে টেবিলে বসে থাকুন। ২০১৬ সালের ১ জুলাই ওই রেস্তোরাঁয় হামলার পর অভিযান চালাতে গিয়ে নিহত হন ডিএমপির এসি রবিউল।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯/মাহবুব