রাজশাহীর মোহনপুরে দ্বিতীয় স্ত্রীর নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় কলেজের অধ্যক্ষ শামসুজ্জোহা বেলালকে (৪৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে উপজেলার ত্রিমোহনী মোড় থেকে তিনি গ্রেফতার হন। এরপর রবিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে অধ্যক্ষ বেলালকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে দ্বিতীয় স্ত্রী মাসুমা বেগম (২৫) বাদী হয়ে মোহনপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলার খাঁড়ইল গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে মৌগাছি কলেজের অধ্যক্ষ শামসুজ্জোহা বেলাল একই গ্রামের মৃত আলীম উদ্দিনের মেয়ে মাসুমা বেগমকে ২০১৭ সালে ১০ মে মাসে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে মাসুমা বেগম বিধবা মাকে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে থাকতেন। মাসুমা বর্তমানে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
অধ্যক্ষ বেলাল দ্বিতীয় স্ত্রী মাসুমা বেগমকে যৌতুকের জন্য প্রায় সময় নির্যাতন করতেন। মাসুমার মা জাহানারা বেগম মেয়ের সুখের জন্য যৌতুক হিসেবে প্রায় নগদ ৪ লাখ টাকাও দিয়েছেন। কিন্তু তাতেও সুখ মেলেনি মেয়ের। আরও ৪ লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দাবি করে নির্যাতন করতে থাকেন অধ্যক্ষ বেলাল। গত ৯ আক্টোবর মোটরসাইকেল কেনার জন্য আরও দেড় লাখ টাকার জন্য স্ত্রী মাসুমা বেগমকে চাপ সৃষ্টি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে অধ্যক্ষ বেলাল স্ত্রী মাসুমাকে মারপিট করেন।
এ ব্যাপারে মোহনপুর থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ জানান, দ্বিতীয় স্ত্রীর নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় অধ্যক্ষ শামসুজ্জোহা বেলালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব