বুলিংয়ের শিকার এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকার (আইএসডি) প্রিন্সিপাল ডিরেক্টর টি জে কোবার্নকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন ব্যারিস্টার হাসান আজিম।
এতে বুলিংয়ের শিকার শিশুটির সাহায্যে এগিয়ে না এসে উল্টো অপমানজনক আচরণের মাধ্যমে বের করে দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী সহপাঠীদের বুলিংয়ের শিকারের কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সন্তানের নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে বুলিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ওই শিশুর মা সালমা খানম।
তবে ঘটনার প্রতিকার না করে বরং নির্যাতিত শিশুটিকেই দোষারোপ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। একসময় স্কুল থেকে ঝরে পড়ে শিশুটি।
এ পরিপ্রেক্ষিতে সন্তানের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির জন্য আইএসডি স্কুল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে ৮৫ কোটি টাকা (১০ মিলিয়ন ইউএস ডলার) ক্ষতিপূরণ দারি করেছেন অভিভাবক দম্পতি। অনাদায়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলা হয়েছে নোটিশে।
লিগ্যাল নোটিশে জানানো হয়, ২০১৭ সালে স্কুল থেকে শিক্ষা সফরে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় ওই গ্রেডের শিক্ষার্থীদের। সেই ভ্রমণে সহপাঠীরা শিশুটির শরীরের আকার এবং ত্বক নিয়ে তার সঙ্গে আপত্তিজনক ব্যবহার এবং অপমানজনক বাক্য ব্যবহার করে।
যা তার মনে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে এবং অসুস্থ করে তোলে। ধারাবাহিক বুলিংয়ের শিকার হওয়ার ফলে শারীরিক শিক্ষা এবং সাঁতারের ক্লাসে যাওয়া বন্ধ করে দেয় সে। একসময় এর ফলে মাথাব্যথা, বমি এবং দীর্ঘমেয়াদে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে এবং নিজেকে সবকিছু থেকে গুটিয়ে নেয়।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত