৯ এপ্রিল, ২০২০ ১১:৫৪

অবশেষে বিহারী ক্যাম্পের একাংশে পৌঁছানো হলো ত্রাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

অবশেষে বিহারী ক্যাম্পের একাংশে পৌঁছানো হলো ত্রাণ

রাজধানীর বিহারি ক্যাম্পে থাকতে হয় গাদাগাদি করে -বাংলাদেশ প্রতিদিন

অবশেষে কড়া লকডাউনে আটকে থাকাবস্থায় টানা ৩১তম দিনে মিরপুরের বিহারী ক্যাম্পের একাংশে গত রাতে প্রথম খাদ্য-ত্রাণ পৌঁছানো হয়েছে। ঢাকা জেলা প্রশাসন ও ডিএনসিসি মেয়রের উদ্যোগে পাঠানো ত্রাণের ব্যাগগুলো তিন নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম মানিকের ত্ত্ত্বাবধানে বিহারীদের ফুটবল ক্যাম্প, এমসিসি ক্যাম্প ও জেল্লা ক্যাম্পভুক্ত কয়েকশ‘ পরিবারে পৌঁছে দেওয়া হয়। প্রতিটি ত্রাণের ব্যাগে সাড়ে চার কেজি চাল, আধা কেজি ডাল, দুই কেজি আলু, আধা কেজি পেয়াজ, আদা-হলুদ, এক কেজি সয়াবিন তেল, একটি সাবান, এক কেজি লবণ রয়েছে। এসব খাদ্য ত্রাণের প্যাকেটগুলো পেয়ে টানা তিন-চার দিনের অনাহারী মানুষের ঘরে ঘরে রান্নাবান্নার ব্যস্ততা শুরু হতে দেখা গেছে। তবে ডিএনসিসির দুই নাম্বার ও পাঁচ নাম্বার ওয়ার্ডভুক্ত আরও ১২টি বিহারী ক্যাম্পে খাদ্যের জন্য আহাজারি চলছেই।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গত রাত সাড়ে ৮টার পর থেকেই কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম মানিকের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি দল খাদ্য-ত্রাণের কয়েকশ‘ ব্যাগ নিয়ে বিহারী ক্যাম্পে প্রবেশ করেন এবং ঘরে ঘরে সেগুলো পৌঁছে দেন।

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনে “চুলা জ্বলছে না বিহারী ক্যাম্পে” শিরোনামে সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশের পর এ ত্রাণ পাঠানো হলো।

উল্লেখ্য, অতিঘিঞ্জি পরিবেশে গাদাগাদি ঠাসাঠাসি অবস্থায় বিহারী ক্যাম্পগুলোর প্রায় আড়াই লাখ বাসিন্দাকে করোনা বিস্তারের ঝুঁকি চিহ্নিত করে গত ৮ মার্চ থেকে পুরোপুরি লকডাউনে রাখা হয়েছে। মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকার এসব ক্যাম্প থেকে অতি জরুরি কাজেও কাউকে বের হতে দেওয়া হয় না, কাউকে ঢুকতেও দেওয়া হয় না। অথচ চরম খাদ্যাভাবে ৪/৫ দিন ধরেই চুলা জ্বলা বন্ধ রয়েছে তাদের।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর