২০ জানুয়ারি, ২০২১ ১৮:৫২

অপহৃত ব্যবসায়ী মিহির উদ্ধার, গ্রেফতার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক

অপহৃত ব্যবসায়ী মিহির উদ্ধার, গ্রেফতার ২

প্রতীকী ছবি

রাজধানীর দক্ষিণখানের চেয়ারম্যানপাড়া এলাকা থেকে অপহরণকারী চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। 

গ্রেফতারকৃতরা হলো, মিরাজ (৩৫) ও বৃষ্টি (২১)। আসামিরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে বিভিন্নজনকে তুলে নিয়ে তার পরিবারের কাছে টাকা দাবি করতো। টাকা নিয়ে ঢাকার নির্জন এলাকায় ফেলে দেয়া হতো তাদের। তাদের কাছ থেকে অপহরণে ব্যবহৃত একটি ছুরি, ৫৭টি ইলেক্ট্রিক্যাল ক্যাবল টাইস, একটি স্ক্রু ড্রাইভার ও একটি প্লাস উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

আজ বিকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরে ‘ফুড ষ্টোরী’ নামে একটি ফাস্ট ফুডের দোকান আছে মিহির রায়ের। গত ১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় অজ্ঞাত নামা এক ব্যক্তি তার ভাইয়ের প্রোগ্রামে ৮০ প্যাকেট খাবার অর্ডার দিবে বলে অপহৃত মিহিরকে সঙ্গে করে নিয়ে যায়। এরপর মিহিরের ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। ১৪ জানুয়ারি মিহিরের নাম্বার থেকে মিহিরের স্ত্রীর নাম্বারে ফোন আসে। 

কিন্তু কোনো কথা না বলে কেটে দেয়া হয়। কিছুক্ষণ পর অন্য একটি নাম্বার থেকে কল আসলে রিসিভ করেন মিহিরের স্ত্রী। ওপাশ থেকে মিহির বলেন, এরা আমার হাত, পা ও চোখ বেঁধে রেখেছে। ২০ লাখ টাকা দিলে ছেড়ে দেবে। পরে তার স্ত্রী বিভিন্ন সময়ে অপহরণকারীদের দেয়া নাম্বারে ২ লাখ ৯১ হাজার টাকা ‘বিকাশ’ করে। অবশিষ্ট টাকা না দিলে তার স্বামী মিহিরকে ক্ষতির হুমকি প্রদান করে অপহরণকারীরা। এ ঘটনায় গত শনিবার মিহিরের স্ত্রী বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেন।

অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, মামলার পর অপহৃত ব্যবসায়ী মিহির রায়কে উদ্ধারের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ডিবির উত্তরা জোনাল টিম। অভিযানকালে গোয়েন্দা টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, অপহরণ চক্রটি ভিকটিমকে চেয়ারম্যান পাড়ার হেজুর উদ্দিন রোডের একটি বাড়িতে আটকে রেখেছে। পরে ওই বাড়িটির ৩য় তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মিহির রায়কে উদ্ধার করা হয়। এসময় অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে মিহিরের স্ত্রীর কাছ থেকে বিকাশে নেয়া নগদ ৪৯ হাজার টাকা।

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃতরা একটি অপরহরণকারী চক্র। তারা বিভিন্ন সময় অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। এছাড়াও, অপহরণকারীরা অপহরণের পর ভিকটিমের সঙ্গে একজন নারীকে দিয়ে অশ্লীল ছবি তুলে রাখে, যাতে ভিকটিম মুখ খুলতে না পারে। যদি এ বিষয়ে পুলিশ অথবা অন্য কারো কাছে অভিযোগ করে তাহলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিকটিমের অশ্লীল ছবি ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখায়। 

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর