২২ অক্টোবর, ২০২১ ১৮:২৭

ক্ষুদে লেগস্পিনার সাদিদের দায়িত্ব নিলেন ব‌রিশালের ডিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

ক্ষুদে লেগস্পিনার সাদিদের দায়িত্ব নিলেন ব‌রিশালের ডিসি

বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের সঙ্গে ক্ষুদে ক্রিকেটার আসাদুজ্জামান সাদিদ

ক্রিকেট দুনিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টিকারী বরিশালের ৬ বছর বয়সী জাদুকরী লেগস্পিনার আসাদুজ্জামান সাদিদের সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছেন বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।

গত বৃহস্পতিবার রাতে সাদিদ এবং তার প্রশিক্ষক মামা সিরাজুল ইসলাম শুভকে জেলা প্রশাসকের সরকারি বাস ভবনে আমন্ত্রণ জানান জসীম উদ্দীন হায়দার। জেলা প্রশাসক ক্ষুদে বিস্ময় ক্রিকেটার সাদিদের লেখাপড়া এবং খেলাধুলার সার্বিক দায়িত্ব বহনের প্রতিশ্রুতি দেন।

সাদিদের ক্রিকেট প্রতীভা ধরে রাখতে সব সময় তার পাশে থাকার ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক। এ সময় সাদিদকে নগদ ৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা করেন তিনি। 

সম্প্রতি সাদিদের বোলিং-ব্যাটিংয়ের ভুল-ত্রুটি শুধরে দেয়ার জন্য তার বোলিং-ব্যাটিংয়ের কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ তৈরি করেন মামা শুভ। সেগুলো ভাগ্নেকে দেখিয়ে ভুল শুধরে দেয়ার পর সেগুলো নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে তিনি। এই পোস্টে মাসখানেক আগে দৃষ্টি পড়ে জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার শাহরিয়ার নাফিসের। তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ক্ষুদে সাদিদের বোলিংয়ের ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করেন। শাহরিয়ার নাফিসের ফেসবুক থেকে সাদিদের বোলিং জাদু দেখে মুগ্ধ হন ক্রিকেট লিজেন্ড শচীন টেন্ডুলকার। টেন্ডুলকারের ওই পোস্টে কমেন্টস করেন হালদুনিয়ার অন্যতম সেরা স্পিনার আফগানিস্তানের রশীদ খানসহ খ্যাতনামা অনেক ক্রিকেটার। সব শেষ স্পিন জাদুকর শেন ওয়ার্নেরও চোখ পড়ে সাদিদের বোলিংয়ে।

তিনিও তার বোলিয়ে মুগ্ধ হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাদিদের প্রসংশায় পঞ্চমুখ হন।

সাদিদ থাকেন বরিশাল নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মহাবাজ এলাকায় নানা অবসরপ্রাপ্ত সহকারী পোস্ট মাস্টার মো. লতিফুর রহমানের বাড়িতে। সংলগ্ন উলালঘুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র তিনি। তার মা গৃহীনি। বাবা থেকেও নেই। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে সাদিদের জন্ম হয়। এর মাস ছয়েক পর তার মা জুম্মাতুন্নেছার সাথে বাবা সৌদি প্রবাসী ঝালকাঠীর মনিরুজ্জামান সুমনের বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে নানা বাড়িতেই বেড়ে উঠছে সাদিদ।

তার এক মামা সিরাজুল ইসলাম শুভর স্বপ্ন ছিল বড় ক্রিকেটার হয়ে জাতীয় দলে খেলা। কিন্তু আর্থ-সামাজিক নানা কারণে সেটা হয়ে ওঠেনি তার। এ কারণে নিজের স্বপ্নের জাল বুনছেন ভাগ্নে সাদিদকে ঘিরে। মাত্র ৩ বছর বয়স থেকেই ক্রিকেটের প্রতি বাড়তি আকর্ষণ সাদিদের। করোনাকালে বদ্ধজীবনে নিজ বাড়ির আঙিনায় ভাগ্নে সাদিদকে ভালভাবে তালিম দেন শুভ। একই রিস্টে লেগ স্পিন এবং গুগলি বল করে ব্যাটসম্যানদের জন্য আতংকে পরিণত হয়েছেন ক্ষুদে সাদিদ। ব্যাটিংও করেন মারকুটে। 

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর