যশোরের ছাত্রী তামান্না আক্তার নূরা (১৮)। যিনি এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় পা দিয়ে লিখে জিপিএ-৫ পান। তার এই সফলতার খবর সংবাদমাধ্যমে আসে। এরপর তামান্নার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
৮ মার্চ তাকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ভর্তি করা হয়। রাজধানীতে এসে আজ শনিবার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তামান্না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন ও অন্যান্য চিকিৎসকসহ তামান্নার বাবা-মা।
এর আগে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তামান্না সাংবাদিকদের বলেন, ‘খুবই ভালো লাগছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোনকে আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, তারা আমাকে নিয়ে এতটা ভেবেছেন। আমি হাঁটব, হাঁটলে আমাকে কেমন লাগবে, এটাই এখন আমার কল্পনা।’
তামান্না যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া আলীপুর গ্রামের মো. রওশন আলী ও খাদিজা পারভীনের মেয়ে। তিন ভাইবোনের মধ্যে বড় তিনি। জন্ম থেকেই দুই হাত ও এক পা নেই তার। শুধু বাম পা নিয়ে জন্ম নেওয়া তামান্না শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে এ বছর উপজেলার বাঁকড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ অর্জন করেন।
এর আগে ২০১৯ সালে উপজেলার বাঁকড়া জনাব আলী খান মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন তামান্না। এ ছাড়া পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ পান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ