রাজধানীর উত্তরায় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেলে থাকা নারীসহ তিন আরোহী নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত কাভার্ডভ্যান চালককে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মো. বশির (২৬)। তিনি ভোলা জেলার লালমোহন থানার বালচুর গ্রামের মো. নাছির উদ্দিনের পুত্র। এসময় তার নিকট একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স, একটি মোবাইল ফোন, নগদ ১৭৫০ টাকা এবং একটি ম্যানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
আজ শনিবার র্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার এবং সহকারী পরিচালক (অপস্ অফিসার) নোমান আহমদ গণমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ৪ টার দিকে র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা র্যাব-১ ও র্যাব-৮ এর একটি যৌথ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোলা জেলার লালমোহন থানার বালচুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি মো. বশির (২৫)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বশির ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছে জানিয়ে নোমান আহমদ জানান, ‘মো. বশিরের ব্যবহৃত ড্রাইভিং লাইসেন্স হালকা যানের (মোটরসাইকেল বা প্রাইভেটকার) জন্য প্রযোজ্য। তার উপর ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২১ সালে। ভারী যানবাহনের লাইসেন্স ছাড়াই আসামি মো. বশির বিগত ৪ বছর ধরে কাভার্ডভ্যানটি চালিয়ে আসছিল।’
পুলিশ ও র্যাব সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের দিন ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫ টার দিকে এনামুল হক (৪৫) নামে এক ব্যক্তি মোটরবাইকে তার ফুফু হনুফা বেগম (৪৫) ও ছোট ভাই অনিক (১৮)কে নিয়ে রাজধানীর হাজারীবাগ থানার রায়েরবাজার এলাকা থেকে উত্তরা যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে উত্তরা পশ্চিম থানার উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরস্থ রবীন্দ্র সরণি রোডের আমির কমপ্লেক্সের এর সামনে আসলে পেছন দিক থেকে কাভার্ডভ্যানটি বেপরোয়া গতিতে এসে তাদের বহনকারী মোটরবাইকটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তারা ছিটকে রাস্তায় পড়ে যায় এবং কাভার্ডভ্যানের চাকায় পৃষ্ট হয়ে এনামুল হক ও তার ফুফু হনুফা ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর অনিককে (১৮) গুরুতর আহত হওয়ায় প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায়, তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক