২৬ নভেম্বর, ২০২২ ১৬:৩৮
এবি পার্টির সমাবেশে বক্তারা

‘সংসদে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি নাই’

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘সংসদে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি নাই’

গত দুই দুইটা নির্বাচনে আমরা ভোট দিতে পারিনি। জনগণের নির্বাচিত কোন প্রতিনিধি সংসদে নাই। আমরা সচেতন হবো। ঘুরে দাঁড়াবো। এখন থেকে নীরবে শুধু কষ্ট সহ্য করব না। সবাইকে সংগঠিত করে নারীদের মধ্যে একটা ঐক্য গড়ে তুলবো। এ ঐক্য অন্যায় জুলুম আর শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ঐক্য। এ ঐক্য চোর ডাকাতদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার ঐক্য। নারীদের চুপি চুপি চোখের পানি মোছার দিন শেষ। 

‘স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সংগ্রাম শুরু’-শনিবার আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি ওমেন্স উইং আয়োজিত প্রতিবাদী নারী সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। 

লাগামহীনভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, রিজার্ভ সংকট, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও ব্যাংকিং খাতে লুটপাটের বিরুদ্ধে বেলা ১২টায় ঢাকার বিজয় নগরস্থ বিজয়-৭১ চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে এবি পার্টি ওমেন্স উইং। 

ওমেন্স উইং এর সমন্বয়ক নাসরীন সুলতানা মিলির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিলারা চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সহকারী সদস্য সচিব শ্রমিক নেত্রী বেবী পাঠান। এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুর রহমান কচি, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জু ও যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জাান ফুয়াদ সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। 

ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, একটি দেশে যখন গণতন্ত্র থাকে না; তখন স্বৈর-ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়। অবাধ দুর্নীতি, সীমাহীন স্বেচ্ছাচারীতা ও অনাচারের যাঁতাকলে রাষ্ট্রযন্ত্র এবং এর প্রতিটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান যখন ভেঙে পড়ে, তখন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকই জুলুম ও বঞ্চনার শিকার হয়। তবে আর্থ-সামাজিক কারণে নারীরাই তুলনামূলকভাবে বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে; ফলে সব মিলিয়ে পরিবারসহ সর্বত্র নারীর প্রতি সহিংসতা ও বিমাতাসুলভ আচরণ হয়ে পড়ে নিয়ন্ত্রণহীন।  

প্রতিবাদী নারী সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন দলের নেত্রী রুনা হোসেন, সুলতানা রাজিয়া, ফেরদৌসী আক্তার অপি, আমেনা বেগম, জেসমিন আক্তার মুক্তা, আসমা আক্তার জ্যোতি, রাশিদা আক্তার মিতু, রাখি আক্তার, তানজিনা ইসলাম প্রমুখ।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর