৩ জুন, ২০২৩ ০৯:১৬

বরিশালে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ: আহত ১০

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ: আহত ১০

বরিশাল সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর উঠান বৈঠকে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার রাত পৌঁনে ৮টার পর নগরীর বান্দ রোড সংলগ্ন পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে এই সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলেও বক্তব্য না দিয়েই অনুষ্ঠান মঞ্চ ত্যাগ করেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী। এ ঘটনায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থী পরস্পরকে দায়ী করেছেন। 

পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে নৌকার উঠান বৈঠকের সমন্বয়কারী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য সঞ্জিব দাস জানান, পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাতের উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এক পর্যায়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শেখর দাসের মঞ্চে ওঠা নিয়ে হট্টগোল হয়। এ সময় দুই কাউন্সিলর প্রার্থী শহীদুল্লাহ কবির ও জয়নাল আবেদীনের সমর্থকদের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। এতে অনুষ্ঠানে বিচ্ছৃংখলার সৃষ্টি হয় এবং উভয় পক্ষের পক্ষে সংঘর্ষ হয়। এতে রেশমা, রিয়াজুল ইসলাম, সুমন হাওলাদার, রিয়াদ, রেশমা, নুরুজ্জামান, মিঠু, মো. সানি, এনামুল হোসেন ও সিদ্দিক নামে ১০জন আহত হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে শের-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। 

হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ নম্বর ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর প্রার্থী শহীদুল্লাহ কবির প্রার্থী পরস্পরকে দায়ী করেছেন। 

এদিকে সংঘর্ষের কারণে অনুষ্ঠানস্থলে হট্টগোল শুরু হলে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে বক্তব্য না দিয়েই মঞ্চ ত্যাগ করেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত। 

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ফজলুল হক বলেন, আওয়াম লীগ প্রার্থীর  উঠান বৈঠকে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ এবং চেয়ার ছোড়াছুড়ি হয়েছে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি। 

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আফজালুল করিম বলেন, অনুষ্ঠানে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকজন বিচ্ছৃংখলা করেছে। বিব্রতকর পরিস্থিতির কারণে খোকন সেরনিয়াবাত বক্তব্য না দিয়েই মঞ্চ ত্যাগ করেন। সেখানে পরবর্তীতে উঠান বৈঠক করা হবে। এ ঘটনার পর সতর্কতা হিসেবে নৌকার পরবর্তী উঠান বৈঠকের মঞ্চে কোন কাউন্সিলর প্রার্থীকে উঠতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। হামলার ঘটনার পেছনে কোন ইন্ধন আছে কিনা সেটা দলীয়ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং পুলিশও বিষয়টি তদন্ত করছে।  

বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর