রাজধানীতে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোটরসাইকেলে থাকা ছাত্রীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন কলেজ শিক্ষার্থী জান্নাত (১৮) ও তার চাচাতো ভাই শামীম মৃধা (৩৫)। এ ঘটনায় সাদিয়া (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে।
নিহত জান্নাত বরগুনার বেতাগি উপজেলার মো. বাহাউদ্দিনের মেয়ে। তারা পরিবারসহ কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় থাকতেন। এদিকে ঘটনার পরপরই চালকসহ প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে শুক্রবার ভোরে জান্নাতের মৃত্যু হয় এবং এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শামীমেরও মৃত্যু হয়।জান্নাতের বাবা বাহাউদ্দিন গণমাধ্যমে জানান, গতরাতে জান্নাতের চাচাতো ভাই শামীম মাটিকাটা এলাকা থেকে কুড়িল বিশ্বরোডে তাদের বাসায় বেড়াতে আসেন। রাতে শামীম তার নিজের ভাগনি সাদিয়া ও চাচাতো বোন জান্নাতকে সঙ্গে নিয়ে আবার নিজের বাসায় যাচ্ছিলেন। তাদের সঙ্গে অন্য মোটরসাইকেলে ছিলেন সাদিয়ার মা-বাবা ও দুই ভাই। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে শামীমের মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে একটি প্রাইভেটকার এসে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে বাইকে থাকা তিনজনই আহত হন।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পরে আহতদের প্রথমে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি দেখে সেখান থেকে তাদের ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেওয়া হলে সেখানে জান্নাত ও পরে শামিমের মৃত্যু হয়।
নিহত শামীমের ভগ্নিপতি সাইফুল ইসলাম জানান, শামীমের বাড়ি বরিশাল বাকেরগঞ্জ উপজেলায়। বাবার নাম সোহরাব মৃধা। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাসুদ দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ