রাজশাহীতে ১৪ দলের নেতারা বলেছেন, অনেকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে আছেন, কিন্তু শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীকের সঙ্গে নেই। যারা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল, তারা আজকে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। যারা আজকে প্রকাশ্যে শেখ হাসিনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে, ভবিষ্যতে তাদেরও ক্ষমা হবে না বলে বিশ্বাস করি। কারণ, শেখ হাসিনা কখনোই বিশ্বাসঘাতকদের প্রশ্রয় দেন না। আমরা এই আসনে নৌকার জয় নিশ্চিত করে আবারও শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে চাই।
মঙ্গলবার বিকালে নগরীর বিনোদনপুর বাজার থেকে তালাইমারি পর্যন্ত নির্বাচনি প্রচার মিছিল পরবর্তী পথসভায় দেওয়া বক্তৃতায় তারা এসব কথা বলেন।
প্রচার মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছেন-নৌকার প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।
পথসভায় নৌকার প্রার্থী ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশকে যারা পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র চালাচ্ছিল, সেদিন আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করেছি। শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসানোর মধ্যদিয়ে আমাদের লড়াইয়ের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে শেখ হাসিনা আছেন বলেই আজকে বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশে পরিণত হয়েছে। এদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নতুন নয়। মোস্তাক-মীর জাফররা বারবার ফিরে আসে। বর্তমানেও তাই হচ্ছে। আজকেও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে দাঁড়িয়ে মীর জাফররা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমি বলতে চাই, যারা শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রকাশ্যে বিশ্বাসঘাতকতা করছে; ভবিষ্যতে তাদের কখনোই ক্ষমা করা হবে না বলে বিশ্বাস করি।
নৌকা জিতবেই উল্লেখ করে টানা তিনবারের এই এমপি বলেন, শেখ হাসিনার দেওয়া নৌকা নিয়ে তা ভোটের মাঠে লড়াই করছি। এ লড়াইয়ে আমরা অবশ্যই জিতবই। শেখ হাসিনা আবারও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। সেদিন আমরা দেখতে চাই, আজকে যারা শেখ হাসিনার নৌকার বিরোধিতা করছে, তারা সেদিন কোথায় থাকবে। সেই বিচারও ওইদিনই হবে। আমি ১৪ দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাই, আপনারা মানুষের দ্বারে দ্বারে যান, শেখ হাসিনার বার্তা পৌঁছে দিন। তাদের কাছে নৌকা প্রতীকের জন্য ভোট চান। সঙ্গে এও বলুন, যারা আওয়ামী লীগের নাম নিয়ে নৌকার বাইরে অন্য কোন প্রতীকে ভোট চাচ্ছে, তারা স্বাধীনতার শত্রুদের সহযোগিতা করছে। কারণ একমাত্র নৌকাই হচ্ছে শেখ হাসিনার প্রতীক, বঙ্গবন্ধুর প্রতীক, স্বাধীনতার প্রতীক।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, ছয় ছয়টি দল পরিবর্তন করে এখন আওয়ামী লীগের নাম করে মানুষের কাছে ভোট চাচ্ছেন। আবার মাইকে বাজাচ্ছেন-শেখ হাসিনার সালাম নিন ‘অন্য একটি’ প্রতীকে ভোট দিন। আমরা বলতে চাই যিনি এমনটি করছেন, তিনি সরাসরি শেখ হাসিনার সঙ্গে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। সেই মানুষটি ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের ইতিহাসে একজন নিকৃষ্ট হয়ে থাকবেন। আমরা যারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বাসী, যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করি, তারা কখনোই শেখ হাসিনার বাইরে, বঙ্গবন্ধুর বাইরে, নৌকার বাইরে যেতে পারি না। আজকে শহর জুড়ে হাজারো মানুষের যে সমর্থন দেখছি, দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আগামী ৭ তারিখে নৌকার জয় কেউ ঠেকাতে পারবে না ইনশাল্লাহ।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, সহ-সভাপতি রেজাউল ইসলাম বাবলু, সহ-সভাপতি বদরুজ্জামান খায়ের, মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, যুবমৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি তৌহিদুর রহমান, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক তোতা, মহানগর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাদরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল মতিন, নাজমুল করিম অপু, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন, সাবেক ছাত্রনেতা মঞ্জুর মোরশেদ হাসান চুন্না, মনোয়ার হোসেন সেলিম, জেষ্ঠ আইনজীবী সুশান্ত দাশ, মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মুকিদুজ্জামান জুরাত, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, উপ-প্রচার সম্পাদক সিদ্দিক আলম, সদস্য আশরাফ উদ্দিন খান।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত