তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ফেলে রেখে পালিয়েছে স্বামীসহ শ্বশুর-শাশুড়ি। বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বেলতলা বাজার এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয় বলে আমানতগঞ্জ পুলিশ ফাড়ির এসআই কুদ্দুস মোল্লা জানিয়েছেন।
ওই গৃহবধূ হলো সরকারী বরিশাল মহিলা কলেজের ডিগ্রি পাস কোর্সের ছাত্রী ও নগরীর ব্রাঞ্চ রোড খান বাড়ীর বাসিন্দা বেলায়েত খানের কন্যা লামিয়া আক্তার বর্ষা (২২)। সে নগরীর বেলতলা বাজার এলাকার বাসিন্দা শাহিন সিকদারের সিয়াম শিকদার মৃদুলের স্ত্রী।
বর্ষার মামা অনিক চৌধুরী বলেন, প্রেম করে পাঁচ মাস পূর্বে মৃদুলকে বিয়ে করে বর্ষা। বেকার ছেলেকে বিয়ে করায় প্রথমে মেনে নেয়া হয়নি। পরে পারিবারিক সম্মানের কথা চিন্তা করে বিষয়টি মেনে নেয়া হয়। পরে বেকার ছেলেকে ব্যবসা বানিজ্য করার জন্য টাকাও দাবি করে। কিন্তু বর্ষার বাবা মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে টাকা দিতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু এ মুহুর্তে তার অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ থাকায় দিতে পারেনি। এ নিয়ে মৃদুল ও তার মা সুমা আক্তার প্রায় সময় বর্ষাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করতো।
মামা অনিক বলেন, বর্ষা অন্ত.সত্তা হওয়ার পর স্বামী মৃদুল বাসায় থাকতো না। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে সময় কাটাতো। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর এ নিয়ে বর্ষার সাথে তর্ক হয়। এক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের চার্জারের ক্যাবল গলা পেছিয়ে বর্ষাকে হত্যা করে। পরে বিছানায় লাশ ফেলে রেখে সবাই পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
লাশ উদ্ধার করা মহানগর পুলিশের আমানতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই কুদ্দুস মোল্লা বলেন, আমরা গিয়ে ঘরের খাটের উপর স্ত্রী বর্ষার লাশ পেয়েছি। তার গলায় ফাঁস দেয়ার দাগ পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে হত্যা করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে সঠিক কারন বলতে পারবো। বর্ষার পরিবার অভিযোগ দেয়নি। তারা মামলা করবে বলে জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম