ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচনী ট্রাইবুনাল।
আজ সোমবার বরিশাল নির্বাচনী ট্রাইবুনালের বিচারক ও সিনিয়র সহকারী জজ মো. হাসিবুল হাসান এ আদেশ দেন।
প্রায় দুই বছর আগে অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে সেই নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমকে নির্বাচিত ঘোষণার আবেদন জানানো হয়।
ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে করা ওই আবেদন খারিজ করে দেয় নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, নির্বাচন পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে আবেদন করা হয়নি। এটিসহ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে আবেদন খারিজ করার ক্ষেত্রে।
ট্রাইবুনালের এই আদেশে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আজ সোমবার গণমাধ্যমে এক সংবাদবিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে ইসলামী আন্দোলন।
দলটির কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ স্বাক্ষরিত ওই সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের আজকের আদেশে আমরা সংক্ষুব্ধ। আইনি ও রাজনৈতিক লড়াই চলবে।
দলটি জানিয়েছে, এ আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আপিল আদালতে আপিল করা হবে।
এ বিষয়ে প্রার্থীর আইনজীবী শেখ আব্দুল্লাহ নাসির বলেন, মামলা চলবে কি চলবে না। এ নিয়ে আদেশের জন্য ছিল। আদালত বলছে মামলার বিষয় তামাদী হয়েছে। এ মামলা গ্রহণ করা যাবে না।
তিনি বলেন, আইনে বলা আছে ৩০ দিনের মধ্যে করতে পারবে। কিন্তু করতেই হবে এটা বলা নেই। তারপরেও আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা এ আদেশে সংক্ষুদ্ধ হয়ে আমিল করবো।
গত ১৭ এপ্রিল বরিশাল সিটি নির্বাচনের ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। মামলার এজাহারে তিনি দাবি করেন, ভোটাররা সঠিকভাবে ভোট দিতে পারলে বাদী ব্যাপক ভোটে জয়লাভ করতেন। এ ঘটনায় ভোটের দিন প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তার কাছে আবেদন করে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিলের অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা আবেদন গ্রহণ করলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ক্ষমতার প্রভাব থাকায় কোনো ‘রিসিভ কপি’ দেননি।
২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হিসেবে সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি পরাজিত হয়েছিলেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ