মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বহুল আলোচিত ‘নিখোঁজ’ হৃদয় হোসেনের (২২) খোঁজ মিলেছে। তবে জীবিত নয়, মৃত। শুক্রবার বিকাল পাঁচটার দিকে মালয়েশিয়া থেকে উপজেলার বাওট গ্রামে নিজ এলাকায় ফিরেছে তার মরদেহ।
হৃদয় হোসেন বেসরকারি সংস্থা ‘আশা’ অফিসের একজন পিয়ন ছিলেন। ২০২২ সাল থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের দাবি ছিল, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে। কিন্তু প্রবাসে মৃত্যুর খবর শুনে তার নিখোঁজ বিষয়টি নিয়ে নতুন করে এলাকায় আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জানা যায়, ২০২২ সালের ২ অক্টোবর সকালে গাংনীর বাওট এলাকায় আশা’র অফিসে রক্তের দাগ দেখা দিলে চাঞ্চল্য শুরু হয়। কারণ একই সময়ে হৃদয় হোসেন (১৮) নিখোঁজ হন। উত্তেজিত জনতা অফিস ঘেরাও করে এবং শাখা ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলামকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পরিবারের অভিযোগ ছিল, ঘটনার আগের রাত অর্থাৎ ১ অক্টোবর হৃদয়কে ম্যানেজার আমিনুল ইসলামসহ কয়েকজন ব্যক্তি বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ। হৃদয় শাখা ব্যবস্থাপকের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও ধারণ করেছিল। সেই ভিডিওকে কেন্দ্র করেই তাকে হুমকি দেওয়া হয়। তারা দাবি করে, হৃদয়কে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ গুম করা হয়েছে।
তবে সেই নাটকের মোড় ঘুরে যায় দীর্ঘ ৩২ মাস পর। হঠাৎ করেই খবর আসে হৃদয় মালয়েশিয়ায় মারা গেছে। জানা যায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সেখানেই ছিলেন এবং অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ দেশে আনা হয়।
এতে এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে নতুন প্রশ্ন। স্থানীয় অনেকেই বলছেন, ‘যদি হৃদয় মালয়েশিয়ায় ছিলেন, তাহলে এতদিন সেটা গোপন ছিল কেন? তাহলে কি গুম-হত্যার অভিযোগ সাজানো ছিল?’
এ বিষয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, ‘মামলাটি বর্তমানে কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’
বিডি প্রতিদিন/এমআই