মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিতে গিয়ে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় বাবা-মেয়ের দুই পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সোমবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে রাজশাহী বাঘা উপজেলার বানিয়াপাড়ায় মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিতে গিয়ে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় বাবা-মেয়ের দুই পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
তারা হলেন-বানিয়াপাড়ার মালয়েশিয়া প্রবাসী শান্ত ইসলাম (৪৫)। তিনি ছুটিতে দেশে এসেছিলেন। তার মেয়ে উম্মে তুরাইয়া (৫) গ্রীন হেভেন স্কুলের প্লের ছাত্রী। এছাড়া আহত হয়েছেন শান্তর স্ত্রী জেসমিন আক্তারি (২৪)। জেসমিন আক্তারি গর্ভবতী। সকালে তাদের তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শান্ত ইসলাম মারা যান। মেয়ে ও মা এখনো চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে শান্ত তার স্ত্রী-কন্যাকে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলেন। পথে বানিয়াপাড়ায় পৌঁছালে ঢাকাগামী সুপার সনি নামের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এসময় বাবা-মেয়ে বাসের নিচে চাপা পড়ে। এতে বাবা ও মেয়ের শরীর থেকে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় শান্তর স্ত্রীও আহত হয়েছেন। তাদের তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকালে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শান্ত আসলাম মারা যান। এ ঘটনার পরে বাসের চালক ও সহকারীরা পালিয়ে যায়। বাসটি পুলিশ জব্দ করে থানায় নিয়েছে।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ.ফ.ম আছাদুজ্জামান বলেন, এটা নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। শান্ত মারা গেছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই